১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৫:৩৭:২৬ অপরাহ্ন
এলএনজি ব্যবসার সুযোগ পেল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৮-২০২৩
এলএনজি ব্যবসার সুযোগ পেল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি, মজুত ও বিক্রি করতে পারবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। নিজের প্রয়োজন কিংবা অন্যের চাহিদা পূরণে আনা যাবে। নিজস্ব পাইপলাইন অথবা পেট্রোবাংলার লাইন ব্যবহার করে এটি সরবরাহ করা যাবে। আর ক্রেতা ও বিক্রেতা আলোচনা করে এলএনজির দাম নির্ধারণ করতে পারবেন।


গত মঙ্গলবার জ্বালানি বিভাগ প্রকাশিত বেসরকারি পর্যায়ে এলএনজি আমদানি স্থাপনা, আমদানি ও সরবরাহের সংশোধিত নীতিমালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


 


জানতে চাইলে জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গ্যাস সংকটের কারণে অনেক শিল্প কারখানা ও বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোক্তারা যাতে সরাসরি নিজেরাই গ্যাস আনতে পারেন, প্রয়োজনে অন্যদের কাছে বিক্রি করতে পারেন, সেজন্যই এ নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে।


বাংলাদেশ বর্তমানে ৭০-৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাচ্ছে এলএনজি থেকে। বঙ্গোপসাগরে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে (যুক্তরাষ্ট্রের  এক্সিলারেট এনার্জি ও সামিট গ্রুপের একটি) সরকারিভাবে কাতার ও ওমান থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আসছে। এ ছাড়া ২১টি কোম্পানির মাধ্যমে প্রয়োজন অনুসারে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজির কার্গো কেনে পেট্রোবাংলা।


জ্বালানি সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার স্বাক্ষরিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, আমদানিকারক কোম্পানিগুলোকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি বা ভারী শিল্প খাতে প্রকল্প নির্মাণ কিংবা পরিচালনার ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথবা অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কনসোর্টিয়াম করলে সেই কোম্পানির এলএনজি খাতের প্রকল্প নির্মাণ বা পরিচালনার  ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নিজেরা পাইপলাইন, জেটি, স্টোরেজ ট্যাঙ্ক ও এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট স্থাপন করতে পারবে। নির্ধারিত মাশুল দিয়ে পেট্রোবাংলার অব্যবহৃত পাইপলাইনও ব্যবহার করতে পারবে। এ জন্য ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি গ্রহণ করতে হবে। লাগবে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সনদও।


এতে আরও বলা হয়, বেসরকারি আমদানিকারককে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য প্রতি বছর যে পরিমাণ জ্বালানি প্রয়োজন, তার প্রাক্কলন যৌক্তিকতাসহ সরকারকে জানাতে হবে। অন্যদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নাম, ঠিকানা ও চাহিদাকৃত জ্বালানির পরিমাণ দিতে হবে। নিজেদের ব্যবহার বা বিক্রির পর গ্যাস উদ্বৃত্ত থাকলে তা চাহিদা অনুসারে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রি করা যাবে। তবে সেটি অবশ্যই আমদানি এলএনজির ২৫ শতাংশের বেশি হবে না।

শেয়ার করুন