১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৩১:১২ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তান জানে কীভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হয় : সেনাপ্রধান অসিম
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৮-২০২৩
পাকিস্তান জানে কীভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হয় : সেনাপ্রধান অসিম

৭৬তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপন করছে পাকিস্তান। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ব্রিটেন উপনিবেশ থেকে স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়।


স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় দেশটির সেনাপ্রধান অসিম মুনির বলেন, পাকিস্তান জানে কীভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হয়। ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনির স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।


৭৬তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উপলক্ষে আজাদি প্যারেডে ভাষণে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, জাতি স্বাধীনতা, সাম্য এবং সুখের সন্ধানের উদযাপনের এই ঐতিহ্য বজায় রেখেছে। এটি আমাদের অবশ্যই লালন করতে হবে।


রোববার গভীর রাতে কাকুলে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেনারেল মুনির পাকিস্তানের বিপুল সম্পদ এবং যুবসমাজের উৎসাহের প্রশংসা করে তাদের বিশ্বাস, ঐক্য ও শৃঙ্খলায় অবিচল থাকার আহ্বান জানান।


ভূ-রাজনৈতিক কোন্দল থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ হুমকিসহ পাকিস্তানের অগণিত চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করেন জেনারেল অসিম মুনির।


তিনি বলেন, ”আমাদের মহান কায়েদের কথায় আমাকে তাদের সবাইকে সতর্ক করতে দিন, ‘পৃথিবীতে এমন কোনো শক্তি নেই যা পাকিস্তানকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী যেকোনো মূল্যে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে প্রস্তুত।


জেনারেল মুনির এই অঞ্চলে ভারতীয় ক্রিয়াকলাপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার নিন্দা জানান। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপলব্ধি করা উচিত যে, কাশ্মিরে ভারতীয় বাড়াবাড়ির সমাধান করা হয়নি।


খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানের জনগণের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জেনারেল অসিম মুনির। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের মানুষ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।


আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে জেনারেল মুনির চীন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুর্কি, কাতার এবং ইরানের মতো দীর্ঘস্থায়ী মিত্রদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার কথা উল্লেখ করেন।


ভাষণের শেষে জেনারেল অসিম মুনির বলেন যে, ‘পাকিস্তান হ্যায়, তো হাম হ্যায়! (পাকিস্তান থাকলেই আমরা থাকবো)’। পাকিস্তানে দুই মাস পরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে দেশটিতে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে।


তবে বরাবরই অভযোগ রয়েছে যে, পাকিস্তানের ক্ষমতা যার হাতেই থাকুক না কেন সেটি নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির সেনাবাহিনী।যদিও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এটি কখনো স্বীকার করে না।


শেয়ার করুন