১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৩:৩১:৩১ অপরাহ্ন
রামেক ওসিসি থেকে ধর্ষণ মামলার ভিকটিম পালানো চেষ্টা, নার্সসহ আহত ২
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৯-২০২৩
রামেক ওসিসি থেকে ধর্ষণ মামলার ভিকটিম পালানো চেষ্টা, নার্সসহ আহত ২

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাপতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে তানোর থানার ধর্ষণ মামলার  এক ভিকটিম কাঁচের গ্লাস ভেঙে কর্তব্যরত সিনিয়র নার্সের ওপর হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এতে ওসিসি ওয়ার্ডে সিনিয়র স্টাফ নার্স  মালবিকা উম্মে লতাসহ এক আয়া আহত হয়েছেন। পরে তাকে আটকানোর পর তানোর থানার পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।


রামেক হাসপাতালের ওসিসি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এই গৃহবধূ ওসিসি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মালবিকা উম্মে লতা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে ওই নারী টেবিলের ওপরে থাকা একটি কাঁচের গ্লাস  ভেঙে কাচের টুকরো দিয়ে মালাবিকার ওপরে হামলা চালান। পাশে আয়া ছিলেন। তিনি এগিয়ে এলে তাকেও হামলা করেন। তারা দুজনের এই হামলায় আহত হয়েছেন। তাদের ডাকে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা এসে ওই নারীকে আটক করেন। আহত নার্স ও আয়াকে  প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর দেওয়া হলে তানোর থানার পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়।


জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক  ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ওই নারী আক্রমণাত্বক আচরণ করেছেন। তার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। তার প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই নারী বলেছেন , তার ওসিসিতে থাকতে নাকি ভালো লাগছিল না। এই জন্য তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।


এই নারীকে জেলার তানোর থানার একটি ধর্ষণ মামলার ভিকটিম হিসেবে গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর ) ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। ইতিমধ্যে তার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। ওই নারী একজন বিবাহিতা। ইতিমধ্যে পুলিশ ওই ধর্ষণ মামলার আসামিকে  গ্রেপ্তার করেছে। গত শনিবার  দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে আসামি ওই গৃহবধুর বাড়িতে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে চলে যায়। ধর্ষণের ঘটনায় গত রোববার ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সোমবার বিকেলেই মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার গৃহবধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে ওসিসিতে পাঠানো হয়।


তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, সোমবার দুপুরে ওই গৃহবধূ তানোর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, মামলা দায়রের পর ওই দিনই বিকেলে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওসিসি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার ব্যাপারে জানতে চাইলে  তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনে তারপরে বলতে পারবেন।


শেয়ার করুন