১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৪:২৩:২১ অপরাহ্ন
পদ্মা সেতুতে ঘণ্টায় ১২০ কিমি গতিতে চলল ট্রেন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৯-২০২৩
পদ্মা সেতুতে ঘণ্টায় ১২০ কিমি গতিতে চলল ট্রেন

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত গতি পরীক্ষার জন্য একটি ট্রেন চারবার যাওয়া-আসা করেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে ট্রেন ছেড়ে যায়। প্রথম পর্যায়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার থেকে চূড়ান্তপর্বে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি চালিয়ে পরীক্ষা করা হয়।


গত ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করা হয়।


সেদিন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন। তারই অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার দুই দিনে চারবার করে মোট আটবার ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চলবে। এ সময় ট্রেনের যাবতীয় বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


 


এ বিষয়ে পদ্মা রেল প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সহকারী প্রকৌশলী মো. শাদমান শাহরিয়ার জানান, এই শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় আন্ত নগর ট্রেন ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।


আবার সেই ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৯টার সময় মাওয়া থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চালানো হয়। এরপর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ছেড়ে যায়। আবার মাওয়া থেকে সকাল সাড়ে ১১টার সময় ভাঙ্গার উদ্দেশে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেনটি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়। আজ শনিবারও একইভাবে চারবার পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার বেগে ভাঙ্গা-মাওয়া রেলস্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে।


 


এদিকে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত যেতে মধ্যে মাদারীপুরের শিবচরের দুটি স্টেশনে থেমেছে ট্রেন। এ সময় ট্রেনের চালক মো. আবুল কাশেম নির্বিঘ্নে ট্রেন চালিয়ে খুব উত্ফুল্ল ছিলেন। তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন রেলপথে ট্রেন চালিয়েছি। সর্বোচ্চ ৮০-৮৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালিয়েছি। আজই প্রথম ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন চালিয়ে মাত্র ৩০ মিনিটে মাওয়া স্টেশন থেকে ভাঙ্গায় এসেছি।


শেয়ার করুন