ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে তো কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। বিশ্বকাপ খেলতে পিসিবিকে সরকারের অনুমতি চাইতে হয়েছে। তা অবশ্য পেয়ে গেছে পাকিস্তান অনেক আগেই। এখন বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে আগে ভিসা জটিলতায় আটকে গেছে পাকিস্তান।
ক্রিকইনফো জানতে পেরেছে, ভারতে ভ্রমণ করা ৯ দলের মধ্যে পাকিস্তানই একমাত্র দল, যারা এখনো ভিসার জন্য অপেক্ষা করছে। ভিসা তারা করতে দিয়েছিল এক সপ্তাহ আগে। আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সোমবার দুবাই যাওয়ার কথা ছিল পাকিস্তান দলের। সেখানে দুই দিন থাকার পর বুধবার হায়দরাবাদের বিমানে ওঠার কথা ছিল তাদের। শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। এখন ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় তাদের (পাকিস্তান) দুবাইয়ে থাকার পরিকল্পনা বাধ্য হয়ে বাতিল করতে হয়। বুধবার লাহোর থেকে দুবাইয়ে যাবে এবং তারপর সেখান থেকে উড়াল দেবে হায়দরাবাদে। পিসিবির আশা, শিগগিরই তারা ভিসা পেয়ে যাবে।
রাজনৈতিক অস্থিরতায় দুই দলের মধ্যে সবশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়েছে ২০১২-১৩ সালে। ভারতের মাঠে সেবার খেলেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এরপর শুধু একবারই ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত সফর করেছিল পাকিস্তান। আর ২০০৮ এশিয়া কাপের পর ভারত তো পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে না। এ কারণে ২০২৩ এশিয়া কাপ পাকিস্তানে আয়োজনের কথা থাকলেও ‘হাইব্রিড মডেলে’ শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান দুই দেশ মিলে আয়োজন করতে হয়েছে। ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কার মাঠে। আর ভারত, পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে পর্যটক ভ্রমণ বেশ সীমিত করা হয়েছে, যে কারণে ভিসা-সংক্রান্ত ঝামেলায় পড়তে হয়। অনেক সময় ভিসাই পান না প্রতিবেশী দেশের নাগরিকেরা।
২৯ সেপ্টেম্বরের পর ৩ অক্টোবর হায়দরাবাদেই নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। এরপর ৬ ও ১০ অক্টোবর হায়দরাবাদে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ খেলবে বাবর আজমের দল। সেই দুই ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কা। গতকাল বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে পিসিবি।