একদফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা ষষ্ঠ দফার টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে এ অবরোধ। চলবে আগামী শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। তবে অবরোধের এই পর্যায়ে এসে রাজধানীতে বেড়েছে যানবাহন চলাচল।
ষষ্ঠ দফায় রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথের এই সর্বাত্মক অবরোধ শুরুর আগেই গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশিদ বিন খালিদ জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী মোড়ে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।
অপরদিকে রাত ১১টার পর নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কালিয়াকৈর ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান মো. সুজন জানান, রাত সোয়া ১১টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। বাসে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে আমাদের ২টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যাত্রীবাহী বাসটির নাম সাভার পরিবহন।
অবরোধের সমর্থনে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে সাভার, পটুয়াখালী, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মশাল মিছিল করেছেন বিএনপি ও দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা।
তার পর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে সরকারবিরোধী দলগুলো। পরে ১১ ও ১২ নভেম্বর চতুর্থ দফা এবং ১৫ ও ১৭ নভেম্বর পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা দেয় তারা। জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর তা প্রত্যাখান করে ১৯ ও ২০ নভেম্বর হরতাল সারা দেশে হরতাল পালন করে সরকারবিরোধী দলগুলো। এর পর দেওয়া হয় ষষ্ঠ দফায় দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি।