জনবিচ্ছিন্ন নেতৃত্ব হটিয়ে জনগনের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে রাজশাহী-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার ‘কাঁচি’ প্রতীকের জয়ধ্বন্নি তুললেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে প্রচার সভার আয়োজন করা হয়। এসময় রাজশাহী-২ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, আমাদের নেত্রী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আপনারা আপনাদের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে নিজ নিজ জনপ্রিয়তা নিয়ে বিজয়ী হয়ে আসেন। সুতরাং সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে লাভ নাই। সাধারণ মানুষ জনবিছিন্ন নেতৃত্ব চাই না। আর তাই রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতেই কাঁচি প্রতীককে বিজয়ী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাড়া-মহল্লায় কাঁচি প্রতীকের জোয়ার উঠেছে।
এসময় কাঁচি প্রতীকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। তিনি বলেন, শুধু রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ নয়, রাজশাহীর বীর মুক্তিযোদ্ধা, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ আপামর সাধারণ মানুষ পরিবর্তন চাই। কারণ যিনি এর আগে এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন, জনগণের সঙ্গে তার সর্ম্পক নেই। আর একারণেই আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের প্রার্থী রাজশাহী-২ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশাকে সমর্থন জানিয়েছি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কাঁচি প্রতীকের নিরঙ্কুশ জয়ের মধ্যে দিয়ে আমাদের আশা-আকাঙ্খা পূরণ হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের আশা-আকাঙ্খার জয় হবে।
এ সময় সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. সাইদুল ইসলাম, রাজপাড়া থানা কমান্ডার শুকুর উদ্দিন সাহেব, সভাপতি আমেনুল ইসলাম, বোয়ালিয়া কমান্ডার খন্দকার জামাল উদ্দিন, ডেপুটি কমান্ডার আলতাফ হোসেন প্রমুখ। প্রচার সভায় অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।