ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার দায়ে গত বছরের অক্টোবরে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক ৮ কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল কাতার। এরপর গত বছরের শেষ দিকে তাদের সাজার মেয়াদ কমিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। অবশেষে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতায় ভারতের নৌবাহিনীর সাবেক সদস্যদের ছেড়ে দিয়েছে কাতার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই ৮ জনের মধ্যে ৭ জন ইতোমধ্যে দেশে ফিরে এসেছেন। তারা দীর্ঘ ১৮ মাস কাতারের কারাগারে বন্দি ছিলেন।
এ ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কাতারে বন্দি ৮ ভারতীয় নাগরিকের ফিরে আসার বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত সরকার। তারা দাহরা গ্লোবাল কোম্পানির হয়ে কাজ করতেন। ৮ জনের মধ্যে ৭ জন ইতোমধ্যে ভারতে ফিরে এসেছেন। কাতারের আমির তাদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আমরা সেটিকে স্বাগত জানাই।
এই দাহরা গ্লোবালের হয়ে কাজ করার সময় ভারতীয় নৌবাহিনীর এসব কর্মকর্তা ইসরাইলের কাছে গোপন তথ্য পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড ও সবশেষে মুক্তি পাওয়া নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা হলেন— ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কমান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ। তাদের ২০২২ সালের আগস্টে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং তখন থেকেই কারাগারে বন্দি ছিলেন।
ভারতীয় নৌবাহিনীর এসব কর্মকর্তা দেহরা গ্লোবাল নামের এ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাতারের নৌবাহিনীর হয়ে কাজ করতেন। তাদের কাজ ছিল— কাতারি নৌবাহিনীর সদস্যদের ইতালির ইউ২১২ সাবমেরিনের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া।
কাতারের একটি আদালত ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেন। ওই সময় ভারত জানিয়েছিল, এই রায়ে তারা ‘বিস্মিত’ হয়েছে। এরপর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এসব কর্মকর্তাকে ছাড়িয়ে নিতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে দেশটি। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বরে মৃত্যুদণ্ডের সাজা স্থগিত করে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।