বছর ঘুরে আবার চলে এসেছে মুসলমানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদ। এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু হয়েছে ঈদ নিয়ে। হাট কবে শুরু হবে, কেমন গরু বা পশু কেনা হবে সেগুলো নিয়েই হচ্ছে আলোচনা।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারাবছর গরু লালন-পালন করেন প্রান্তিক কৃষক এবং খামারিরা।
বাংলাদেশের অন্যতম বড় পশুর খামার ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রো। কোরবানিকে সামনে রেখে খামারটিতে প্রায় দেড় হাজার গরু লালন-পালন করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
তাদের লালন-পালন করা গরুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো ‘জেমস বন্ড’। যেটির মূল্য হাঁকানো হচ্ছে ৪০ লাখ টাকা! ইতোমধ্যেই আমেরিকান ব্রাহমা জাতের গরুটির জন্য ৩০ লাখ টাকা দাম ওঠেছে!
এছাড়া আছে ক্যান্ডি নামের একটি গরু। এটিও প্রায় একই দাম হাঁকাচ্ছেন খামারি৷ এটি ব্রাফোর্ড জাতের গরু৷
সাদিক এগ্রোর সিনিয়র সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ইনচার্জ মাইদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, তাদের খামারেই আছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দেশি গরুটি। দেশের সবচেয়ে বড় গরু হওয়ায় এটিকে তারা নাম দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
মাইদুল ইসলামের দাবি, গরুটির বর্তমান ওজন ১ হাজার কেজি বা এক টন৷
শঙ্কর জাত বা বিদেশ থেকে আমদানি করা গরুগুলো এমন ওজন হতে পারে৷ কিন্তু সম্পূর্ণ দেশি একটি গরুর এত ওজন বিষয়টি বিরলই- যোগ করেন মাইদুল।
কোরবানির ঈদ আসতে দুই সপ্তাহ বাকি থাকলেও এখনই তাদের ঈদের কিছুটা বেঁচাকেনা শুরু হয়েছে৷
মাইদুল ইসলাম বলেছেন, তাদের খামারে থাকা আলাল-দুলাল নামে দুটি বিশাল অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরু প্রায় ৩০ লাখ টাকায় ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।
এদিকে গতবার এই সাদিক এগ্রোই 'মেসি' নামের একটি গরু কোরবানির জন্য তৈরি করেছিল। তাদের দাবি ছিল, এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গরু।
এবারো তাদের খামারেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় গরুগুলো রয়েছে বলে দাবি তাদের।