রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন জামালপুর এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে ৩ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এসময় আসামির কাছ থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো: আশিক আহম্মেদ জিসান (২৪), মো: শিমুল (২১) ও মো: মাহমুদ হাসান প্রেম (২১)। আশিক আহম্মেদ জিসান রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার কৃষ্টগঞ্জের মৃত সুজনের ছেলে। বর্তমানে সে টিকাপাড়ায় বসবাস করে। শিমুল বোয়ালিয়া থানার টিকাপাড়ার মো: বুলবুলের ছেলে ও মাহমুদ হাসান একই থানার রামচন্দ্রপুর বাশার রোডের মো: আলমগীর হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার জামালপুর এলাকার মো: আব্দুর রহিম গত ৪ মার্চ সন্ধ্যা ৭ টায় তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল বাড়ির সামনে রেখে ভিতরে যান। কয়েক মিনিট পর বাড়ির বাহিরে এসে দেখেন তাঁর মোটরসাইকেলটি নাই। তিনিসহ তাঁর পরিবারের লোকজন আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেলটি খোঁজাখুঁজি করেন। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চন্দ্রিমা থানায় এজাহার দায়ের করলে একটি চুরির মামলা দায়ের হয়।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আরএমপি বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতি: ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিভূতি ভূষন বানার্জী পিপিএম-সেবা’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: হাফিজুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় চন্দ্রিমা থানা পুলিশের একটি টিম চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ আসামি গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে।
পরবর্তীতে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাহবুব আলমের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: সিদ্দিকুর রহমান, এসআই প্লাবন কুমার সাহার সমন্বয়ে একটি চৌকস অভিযানিক টিম আসামিদের শনাক্ত করে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত টিম অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী জেলার বাগমারা থানা এলাকা থেকে বাঘা থানা পুলিশের সহযোগিতায় আসামিদের চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।