১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৪:৪৫:১১ অপরাহ্ন
অবৈধ হাসপাতাল বন্ধে অভিযান চলবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৩-২০২৪
অবৈধ হাসপাতাল বন্ধে অভিযান চলবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে অবৈধ বা যন্ত্রপাতিহীন হাসপাতাল বন্ধে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ‘সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু এসব বেসরকারি হাসপাতাল যদি নিয়ম মেনে চলে কোনো আপত্তি নেই। আমরা একটা সুন্দর স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছি, যাতে সাধারণ মানুষ উন্নত চিকিৎসাসেবা পাই।’


 


গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস এবং সায়েন্টিফিক সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।


এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে-সেখানে আইসিইউ খোলা যায় না। আইসিইউ খুলতে গেলে ও হার্টের রোগী রাখতে হলে সাপোর্টিং জিনিস লাগে।


 


আমরা মানুষের জীবন নিয়ে কাজ করি। জীবন একটাই। আমরা যে অভিযান চালাচ্ছি তা চলবে, বন্ধ হবে না। প্রয়োজনে অভিযানে আমিও যাব।’


রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অগ্নিকান্ডরোধে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থাকে সজাগ হতে হবে। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৫টা প্রাণ চলে গেল। এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না। আমি আশা করি এর বিরুদ্ধে অভিযান চলা উচিত ও চলবে।’


এর আগে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর অন্য কোনো অংশের চিকিৎসকদের চেয়ে কম না। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সবই আছে। শুধু একটু সুযোগ দিতে হবে। সুযোগ দিলে এ দেশের চিকিৎসকরা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। সেই সুযোগ দেওয়ার জন্যই আমি দায়িত্বটা পেয়েছি এবং এ দায়িত্ব আমার।’


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা। এতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।


এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ১১ রোগীর মধ্যে ৬ জনকে রিলিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৫ জন শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় চিকিৎসাধীন থাকবে বলে মেডিকেল বোর্ড মতামত দিয়েছে।


শেয়ার করুন