প্রতিবারের মতো এবারও ঈদুল ফিতরে যাত্রীচাপের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিশেষ সেই আট জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনের একটিও পাচ্ছে না রাজশাহী। শুধু রাজশাহীই নয়, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের আওতাধীন অন্য দুই বিভাগীয় শহর-রংপুর ও খুলনাও পায়নি বিশেষ ট্রেন। শুধু জয়দেবপুর-পার্বতীপুর রুটে ঈদের আগে তিনদিন এবং ঈদের পরের দিন থেকে তিনদিন একটিমাত্র ট্রেন চলাচল করবে। শনিবার রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রেলওয়ের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজশাহীর সামাজিক ও সচেতন সমাজের প্রতিনিধিরা। উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে বারবার এমন ‘বৈষম্যের’ নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে বিশেষ ট্রেন সুবিধা চালুর দাবি তাদের।
সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, এটি শিক্ষানগরী। এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, বেসরকারি ও সরকারি কর্মচারীরা থাকেন। তাদের নিরাপদে বাড়ি ফেরাতে রেলওয়ের উচিত ছিল একটি হলেও ঈদ স্পেশাল ট্রেন সংযোগ করা। বরাবরই এ অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে তারা বৈষম্য করে আসছে।
ঈদ স্পেশাল ট্রেন পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের দখলে থাকার কারণ জানতে চাইলে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জিএম অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ওদিকের যাত্রীচাপ অনেক।
রাজশাহী সদর আসনের সংসদ-সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, এটা নিয়ে আমি মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। রাজশাহীতে একটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন দেওয়ার জন্য বলেছি। দেখা যাক তারা কী করে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে রংপুরবাসীর মধ্যেও। তারা বলছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে যাত্রীর সংখ্যা দুই-তিনগুণ বাড়বে। কিন্তু বিশেষ ট্রেনের বরাদ্দ দেওয়া হয়নি রংপুর বিভাগের জন্য। অথচ রাজধানী ঢাকা থেকে ঈদ করতে ঘরে ফেরা রংপুর বিভাগের মানুষের সংখ্যাই তুলনামূলক বেশি। কারণ, এ অঞ্চলের বেশির ভাগ শ্রমজীবী মানুষ যারা ঢাকায় পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন শ্রমঘন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তারা অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ায় যাতায়াতের জন্য ট্রেন ব্যবহার করেন। তারা বেশির ভাগই রংপুর বিভাগের বাসিন্দা।