রাজশাহীর বাঘায় রেহেনা বেগম (৫২) নামের এক নারীর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বাজিতপুর এলাকা থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বামী পরিত্যাক্তা রেহেনা বেগম বাজিতপুর গ্রামের মৃত রাহাত মালের মেয়ে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সাদু ফকিরের ছেলে তছিকুল ইসলামের সাথে স্বামী পরিত্যাক্তা রেহেনা বেগমের মেয়ে মনিকা খাতুনের এক বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরিবারে অশান্তি চলছিল। মেয়ে মনিকা খাতুনের অশান্তি দেখে মা রেহেনা বেগম বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর নারায়নগঞ্জের এক গ্রার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরিতে পাঠায়। এরপর জামাই তছিকুল ইসলাম স্বাশুড়ি রেহেনা বেগমের উপর ক্ষিপ্ত হতে শুরু করে।
মেয়েকে গ্রার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরিতে পাঠায়ে কী মা রেহেনা বেগম জামাই তসিকুল ইসলামের হাতে খুন হতে হলো, এমন প্রশ্ন পুরো বাজিতপুর এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে মনিকা খাতুন বলেন, আমার স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে গ্রার্মেন্টস ফেক্টরিতে চাকরিতে গেলেও মা তার হাত থেকে রক্ষা পেলনা। আমার স্বামী তসিকুল ইসলাম মায়ের কাছে কথায় থাকি ঠিকানা চেয়ে না পেয়ে মাকে পুকুর পাড়ে থালা বাসুন মাজা অবস্থায় পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে।
বাজুবাঘা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ্যাড. ফিরোজ আহাম্মেদ রঞ্জু ও মেম্বর রবিউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে এসে দেখি থালা-বাসুনসহ রেহেনা বেগমের লাশ বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে পড়ে আছে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেেিকল কলেজ হাসাপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেেিকল কলেজ হাসাপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোট এলে বিস্তারিত জানা যাবে। রেহেনা বেগমের জামাই তছিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। #