ক্যারিয়ার গড়ার আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি আসলে কী করতে চান—চাকরি, নাকি ব্যবসা? নাকি অন্য কিছু। এ সিদ্ধান্ত নিতে মা-বাবা, শিক্ষকের পাশাপাশি সফল ব্যক্তিদের পরামর্শ নেওয়া ভালো। কোন ধাপে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কেমন হবে, সেসব তুলে ধরেছেন সাব্বির হোসেন।
প্রাথমিক ধাপ
প্রথম শ্রেণি থেকেই ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে হয়। অভিভাবকদের সেভাবেই সন্তানকে পরিচালিত করা উচিত। যেমন: অভিভাবকেরা সন্তানকে সামরিক বাহিনীতে দেখতে চাইলে বা মিলিটারি অফিসার বানাতে চাইলে তাকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করাতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সপ্তম শ্রেণিতে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়া যায়।
মাধ্যমিক ধাপ
এ ধাপে ক্যারিয়ারের মূলভিত্তি গঠিত হয়। এই ধাপে এসে যদি কোনো শিক্ষার্থী পড়াশোনায় ফাঁকি দেয়, তাহলে এর জন্য পরে তাঁকে আফসোস করতে হবে। এইচএসসি পর্যায়ে ভালো কলেজে ভর্তি হতে, উচ্চশিক্ষা নিতে স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে, উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তির আবেদন করতে—এমনকি চাকরির আবেদনের সময় এসএসসির ফল অনেক ভূমিকা রাখে। এ শ্রেণিগুলোতে বাংলা সাহিত্য, বাংলা ব্যাকরণ, ইংরেজি গ্রামার, গণিত, ইতিহাস, পৌরনীতি, ভূগোল, বিজ্ঞান, আইসিটি—বিষয়গুলো ভালো করে পড়তে হবে। তাহলে ক্যারিয়ারে একধাপ এগিয়ে থাকা যাবে।
উচ্চমাধ্যমিক ধাপ
এ ধাপের পড়াশোনা ও ফল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যেটি শিক্ষার্থীর পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বা বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। এ শ্রেণিগুলোতে বাংলা সাহিত্য, বাংলা ব্যাকরণ, ইংরেজি গ্রামার, আইসিটি ও নিজ বিভাগের বিষয়গুলো ভালো করে পড়তে হবে, যা ক্যারিয়ারে এগিয়ে রাখবে।
উচ্চশিক্ষার ধাপ
এ ধাপেই ক্যারিয়ার গড়ার প্রকৃত সময়। বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনে যুক্ত হতে হবে। তাঁদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনা, গবেষণা দক্ষতা, যোগাযোগ দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া এবং সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করা। যে ফিল্ডে ক্যারিয়ার গড়তে চান, সেই ফিল্ডে কাজ করে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এই ধাপে একজন শিক্ষার্থীর তৃতীয় বর্ষ থেকেই চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।