গত শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধনের পরদিন সকাল ৬টায় খুলে দেওয়া হয় দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুতে উঠতে রীতিমতো পাল্লা দেওয়া শুরু হয় বাইকারদের।১০০ টাকা টোল দিয়ে সেতুতে উঠে বাইকারদের অনেকেই নিয়ম না মেনে হুল্লোড়ে মাতেন। বেপোরোয়া গতিতে বাইক চালাতে শুরু করেন অনেক।
ওইদিন সন্ধ্যায় সেতুতে মোটরসাইকেলে চড়ে মোবাইলে ভিডিও করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারান দুই তরুণ। এই দুর্ঘটনার পরই সেতুতে মোটরসাইকেল ওঠা নিষিদ্ধ করে সেতু বিভাগ। চালুর একদিন পরই এই সিদ্ধান্তে দুর্ভোগে পড়েন বাইকাররা।
এ প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুতে স্পিডগান ও সিসি ক্যামেরা বসানোর পর মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা যে অনির্দিষ্টকালীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ব্যাপারটা তা নয়। এটা এখন বন্ধ আছে, এটা একটা নিশ্চয়ই....মোটরবাইকের সম্পর্কে যেটা বলা হয়েছে সেখানে এখন স্পিডগান, সিসিটিভি বসানো হবে। সেগুলো স্থাপনের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সিসি ক্যামেরায় নির্দিষ্ট স্থানের ভিডিও ধারণের পাশাপাশি রাডার স্পিডগান যন্ত্রের মাধ্যমে চলন্ত গাড়ির গতি কত- সেটি পরিমাপ করা যায়। স্পিডগান যন্ত্রটি বিভিন্ন দেশে সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে।