মাত্র পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে আনোয়ারুল আজিমের দেহ ৮০ টুকরো করে হলুদ মাখিয়ে ভাঙড়ের বাগজোলা খালের পানিতে ফেলে এসেছিল খুলনার কসাই জিহাদ হাওলাদার।
দেশে ফিরে গেলে আরও ৫০ হাজার টাকা দেবে বলেও কথা দিয়েছিল খুনের অন্যতম পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশের এক কুখ্যাত দুষ্কৃতকারী আমানুল্লাহ আমান।
কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির হাতে ধরা পড়া কসাই জিহাদ দফায় দফায় জেরায় শনিবার এমনই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের জানিয়েছে। তবে দিনভর ডুবুরি নামিয়ে ও জাল ফেলে ভাঙড়ের বাগজোলা খালে তল্লাশি চালালেও নিহত সংসদ-সদস্যের দেহাংশের সন্ধান মেলেনি।
অন্যদিকে গোয়েন্দারা বাংলাদেশের তিনজন ও কলকাতার একজনকে জেরা করে জানতে পেরেছেন, এমপি আনারকে হত্যার নেপথ্যে স্বর্ণ পাচারের ২০০ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ।
একপক্ষ নিহত এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার অন্যপক্ষ ছিল আনারেরই দীর্ঘদিনের বন্ধু আমেরিকা প্রবাসী আক্তারুজ্জামান শাহীন। দুজনে মিলেই দুবাই থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে সোনা পাচার করতেন বলে গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে।
অভিযোগ, এমপি আনার নিজের কাছে ১০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সোনা লুকিয়ে রেখেছিলেন। গত বছর তা জানতে পারেন আক্তারুজ্জামান। এই টাকা ও সোনা ফেরত চাওয়া নিয়েই তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ এবং শেষপর্যন্ত খুনের ঘটনা বলে গোয়েন্দারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন।
এর আগেও একবার এমপিকে খুনের হুমকি দিয়েছিল শাহীন। তাই এই খুনের মাস্টারমাইন্ড সে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
বেনাপোল সীমান্তের বনগাঁ থেকে গ্রেফতারের পর তৃতীয় দফায় শনিবার বিকালেও ভাঙড়ের খালের ধারে নিয়ে আসা হয়েছিল কসাই জিহাদকে। অবশ্য তার আগে খুন এবং তারপর দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছিল সঞ্জীবা গার্ডেন নামের যে বহুতলের ফ্ল্যাটে, সেখানেও নিয়ে যাওয়া হয় জিহাদকে।