নওগাঁর মান্দায় ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে শরিফ হোসেন সোনার (২২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কশব ইউনিয়নের তুড়-কবাড়িয়া এলাকায় আকন্দপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত শরিফ হোসেন সোনার ওই গ্রামের গ্রামপুলিশ সাহাবুদ্দীন সোনারের ছেলে ও পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন। অভিযুক্ত যুবকেরা হলেন, একই গ্রামের সুলতান আকন্দ (২২) ও পারভেজ আকন্দ (২২)।
পুলিশ অভিযুক্ত সুলতান আকন্দের মা সেলিনা ওরফে সেলি বিবিকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনায় নিহত শরিফের বাবা গ্রামপুলিশ সাহাবুদ্দীন সোনার বাদি হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
নিহতের বাবা সাহাবুদ্দীন সোনার জানান, গত বৃহস্পতিবার (৪জুলাই) তুড়-কবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে আমার ছেলে শরিফের সঙ্গে প্রতিবেশি সুলতান ও পারভেজের বিরোধ শুরু হয়। এ অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছেলে শরিফ স্থানীয় জানবক্সের মোড়ে চা খেয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় সুলতান ও পারভেজ তার পথরোধ করে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
বাদি সাহাবুদ্দীন সোনার আরও বলেন, ছেলে শরিফ উদ্দিন জীবন বাঁচাতে দৌড়ে বাড়ির বারান্দায় এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ছেলে শরিফ মারা যায়। এদিকে শরিফ হোসেনের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সুলতান ও পারভেজের বাড়ি ঘেরাও করে রাখে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। রাতেই নিহত যুবকের উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি আরও বলেন, ঘটনায় নিহতের বাবা সাহাবুদ্দীন সোনার পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি সুলতানের মা সেলিনা বিবিকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ কারাগারে পাঠানো হয়।