১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৪০:২০ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক দেখলেই আ.লীগের মারধর, গুলিবিদ্ধ ২
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৮-২০২৪
কুমিল্লায় শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক দেখলেই আ.লীগের মারধর, গুলিবিদ্ধ ২

কুমিল্লায় শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক দেখলেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মারধর ও বিক্ষোভ মিছিল লক্ষ্য করে গুলি করতে দেখা গেছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত দুইজন গুলিবিদ্ধ ও প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


শনিবার সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা জিলা স্কুল এলাকায় গণমিছিলের উদ্দেশ্যে অবস্থান নেন প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের গান, কবিতা আবৃত্তি ও স্লোগান দিতে থাকেন। তাদেরকে বাধা দিতে দুই পাশে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কান্দিরপাড় পূবালি চত্বরে ১১টার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। 


তারা বলেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমি কে? তুমি কে? রাজাকার, রাজাকার’। পরে দুই পাশ থেকে তাদের উপর গুলি করে ছত্রভঙ্গ করে দেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।


এ সময় স্থানীয় পত্রিকার দুইজন সাংবাদিককে মারধর করে একজনের ফোন নিয়ে যান তারা। এছাড়াও আন্দোলনকারী নারী শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড় ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর টাউনহল মোড় থেকে টমসম ব্রিজ রোডের সিএনজি স্টেশন, ভিক্টোরিয়া কলেজ গেইট, রাজগঞ্জ মোড়, জিলা স্কুল গেইটসহ বিভিন্ন গলিতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে শর্টগান, রামদা, লাঠি নিয়ে মহড়া দেন পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক দেখলেই মারধর ও হুমকি দিতে থাকেন। ইত্তেফাকের সংবাদ প্রদায়ক মানছুর আলম অন্তরকেও আওয়ামী লীগের একজন কর্মী লাঠি হাতে মারার জন্য তেড়ে আসেন।


এর আগে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কয়েক রাউন্ড গুলি করতেও দেখা যায়। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত দুইজন গুলিবিদ্ধ ও প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।


এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বর্তমানে পুলিশ লাইন ও শাসনগাছা ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়।


সূত্র আরও জানায়, এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত নতুন করে পুলিশ লাইন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সংঘাত শুরু হয়েছে।


তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও আওয়ামী লীগের এই সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন কোন উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। ফলে ব্যবসায়ী, পথচারী ও স্থানীয়দের মধ্যে এক ধরণের ভীতি বিরাজ করতে দেখা যায়। বর্তমানে কুমিল্লা নগরীর অধিকাংশ মার্কেট ও দোকানপাট বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।


শেয়ার করুন