১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:২৭:২২ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৮-২০২৪
রাজশাহীতে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ

রাজশাহীতে নগর ভবন, পুলিশ সদর দপ্তর, মেয়রের বাড়ি, মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি, পত্রিকা অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।


সোমবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ সব ঘটনা ঘটে।


একইভাবে ভাঙচুর, আগুন দিয়ে জ্বলিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ব্যক্তিগত কার্যালয়সহ দলের নেতাদের আরও অনেক বাসবভন-স্থাপনা।


প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজশাহী নগরের সড়ক জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। নারী-পুরুষ, শিশু সবাইকে রাস্তায় নেমে পতাকা নিয়ে উল্লাস করতে দেখা যায়।


রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি নিয়ে মাইকে একজনকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও বাজানো হয় বিজয়ের গান।




বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী নগর ভবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে নগর ভবনের পাঁচতলা পর্যন্ত পুড়ে যায়। এ সময় ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে নগর ভবন থেকে ল্যাপটপ, চেয়ার, টেবিল, এসি, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যেতে দেখা যায়।


নগরভবনে থাকা দুইটি ব্যাংকের শাখায়ও আগুন-লুটপাট করা হয়েছে। পাশের ভবনে থাকা এটিএম বুথে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।


ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয় সিটি করপোরেশনের ১৫টি কাউন্সিলরের কার্যালয় এবং কয়েকজন কাউন্সিলরের বাড়িতে। এ ছাড়া জেলা পরিষদ ভবন ও সেখানে থাকা সোনালী ব্যাংকে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।


রাজশাহী নগরের সিঅ্যান্ডবির মোড়ে অবস্থিত মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরেও আগুন লাগানো হয়। ভবনের নিচে কয়েকটি গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভবনের এসি ও সিলিং ফ্যান পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


এছাড়াও আগুন দেওয়া হয় মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখানে পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীপুর পুলিশ বক্স।


রাজশাহী নগরের উপশহর এলাকায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের বাড়িতে, রানীবাজার এলাকায় ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ভাঙচুর, লুটপাট চালানোর পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। সব মালামাল লুট, গাড়ি পুড়িয়ে দেয় লোকজন। রানীবাজারের ওই ভবনে থাকা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ব্যাপক লুটপাট করতে দেখা যায়।


লোকজন নগরের কুমারপাড়া এলাকায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের মালিকানাধীন সরকার টাওয়ারে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এখানে ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।


শেয়ার করুন