সরকার পতনের পর ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, চট করে দেশে চলে আসেন, দেশের জনগণ আপনার অপেক্ষায়। আপনার বিচার করা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। রাজনৈতিক দমন-পীড়নের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে ও আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের শাসন আমল ও বিএনপির এক কথা নয় উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, একজন গুণী ব্যক্তি আমাকে বলেছেন, বাংলাদেশে একটি তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন আছে। আমি এই কথার অর্থ বুঝছি না, এতে করে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন সরকারের চেয়ারে বসে। কিন্তু আমি বলতে চাই, যত খুশি রাজনৈতিক দল প্রয়োজন নতুন করে খুলুন, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তৃতীয় কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের কথা বলে আজীবন ক্ষমতায় বসে থাকবেন বা নির্বাচন দিতে দেরি করবেন সেটা মেনে নেওয়া হবে না। সংস্কারের জন্য যা সময় প্রয়োজন তা আমরা দিতে রাজি আছি। কিন্তু জরুরি সংস্কারের পর নির্বাচন অবশ্যই দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমার সৌভাগ্য আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমি জেলে গিয়েছিলাম ২০০৮ সালে। তাকে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। আমরা জেল থেকে বের হয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনি নির্বাচনে গেলেন। তিনি বললেন, নির্বাচনে যাওয়া ঠিক হয়েছে। আমি নির্বাচনে না গেলে তোমাদের জেল থেকে বের করতে পারতাম না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার কর্মীদের জন্য দেশে থেকে গেলেন। তিনি পালান নাই। দেশনেত্রী বলেছিলেন, এ দেশ আমার, মাটি আমার, বাইরে আমার কেউ নাই, আমি বাইরে যেতে পারব না।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আর আজ তথাকথিত নেত্রী নেতাকর্মীদের ফেলে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার বলছেন চট করে চলে আসবেন। আমাদের দেশের জনগণ আপনার অপেক্ষায় আছে। আপনি আমাদের নেত্রীকে দীর্ঘদিন জেলে রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন। এ দেশের জনগণ আপনার বিচার করবে।
সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমন্বয় করছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল। আর সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সদস্য সচিব আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন।