কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরও বেশি উৎপাদনশীল করে তুলতে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছিল পাঁচ বছর মেয়াদে। প্রকল্পটির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে চলে এলেও শেষ হয়নি কাজ। এ কারণে আরও এক বছর প্রকল্পটির মেয়াদে বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পে কিছু সংযোজন থাকায় এর ব্যয়ও বাড়ছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে কমিশনে। সে অনুযায়ী রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়নে ব্যয় বাড়ছে ৩৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে মেয়াদ বাড়ছে এক বছর। প্রকল্পটির ছয় বছরে ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ১২৯ কোটি ৫১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, বাস্তব অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ।
সংশোধনী প্রস্তাবটি নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) জাহাঙ্গীর আলম।
সূত্র জানায়, প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ১৪৭ কোটি টাকা। প্রথম সংশোধনীতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬৮ কোটি ২০ লাখ টাকায়। দ্বিতীয় সংশোধনীতে আরও ৩৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ২০৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়।
কৃষি মন্ত্রণালয়েরর পরিকল্পনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেন, প্রকল্পে কিছু কাজের স্কোপ বাড়ছে। এ কারণে ব্যয়ও বাড়ছে। আশা করছি, এবার এক বছর মেয়াদ বাড়ালে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
প্রকল্পের মূল মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় তা সাত বছরে গড়াচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রকল্পটি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম দফায় এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় এক বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের জন্য প্রস্তাব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনে।