রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আসাবুল হক ও ২ জন সহকারী প্রক্টর সহ ছাত্রলীগের ৬১ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে শাখা ছাত্রদলের এক নেতা।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) নগরীর মতিহার থানায় চাঁদা আদায় ও হামলার অভিযোগ তুলে এ মামলা করা হয়। এজাহারে আরও ১৫- ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেক নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাবি ছাত্রদলের এক নেতার পক্ষ থেকে মামলার এজাহার দায়ের করা হয়েছে। মামলা এজাহারভুক্ত করার জন্য প্রস্তুতি চলছে। আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ মামলার বাদী হলেন মো. তুষার শেখ। তিনি শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য ও ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী।
মামলার এজহারে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২২ মে ২০২৩ উপরোক্ত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র কলা ভবনের সামনে বেলা ১২টায় বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড, বাঁশের লাঠি, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা করে এবং তার মোটরসাইকেল জিম্মি রেখে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে এবং পরবর্তীতে এ ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে তারা আবারও তাকে আটকিয়ে ১লক্ষ টাকা আদায় করে। এছাড়াও উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসে নিয়মিত হলের সিট বাণিজ্য, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল।
এজহারে আরও বলা হয়, তৎকালীন রাবির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, সহকারী প্রক্টর ড. মাহফুজুর রহমান এবং ড. পুরনজিৎ মহালদার কে বিষয়টি অবহিত করলে তারা উল্টো বাদীকে শাসান এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না বলে অপারগতা প্রকাশ করেন। ফলে তাদের দায়িত্বে অবহেলা এবং ছাত্রলীগের পক্ষপাতিত্ব করার জন্য তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, তালিকাভুক্ত সকল আসামি ক্যাম্পাসের চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা সবাই হাসিনার লাঠিয়াল হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর মারধর, চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য, মাদক সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত ছিল। বিগত সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে দানবে পরিণত হয়েছিল, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত না করে তাদের স্বার্থ হাসিলে কাজ করেছে।