শ্রীলংকার পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী গোতাবায়া রাজাপাকসে গত ১৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শনিবার শ্রীলংকার সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। এ অধিবেশনে সংসদের সেক্রেটারি জেনারেল ধামিকা দেশনায়কে সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগপত্র পড়ে শোনান।
গোতাবায়া রাজাপাকসে তার পদত্যাগপত্রে বলেছেন, অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা তিনি নিয়েছিলেন।
তিনি তার পদত্যাগপত্রে আরও বলেছেন, শ্রীলংকার অর্থনীতির এ বিপর্যয়ের শুরুটা হয়েছিল তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই। ওই সময় অর্থনৈতিক অব্যস্থাপনার কারণে বিপর্যয় শুরু হয়। এরপর করোনার কারণে বিদেশী পর্যটক এবং রেমিটেন্স আসা বন্ধ হয়ে যায়। যা পুরোপুরি বিপর্যয় ডেকে আনে।
পদত্যাগপত্রে গোতাবায়া রাজাপাকসে আরও বলেন, আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস এ সমস্যা সমাধানে আমি সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম, যার মধ্যে ছিল সর্বদলীয় সরকার গঠন করার প্রস্তাবও।
এদিকে গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করার পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
আগামী ২০ জুলাই শ্রীলংকার সংসদে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রনিল বিক্রমাসিংহে দেশটির সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
যদি রনিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে শ্রীলংকায় আবারও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। কারণ বিক্ষোভকারীরা বিক্রমাসিংহেরও পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছেন।