মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের এক নিকৃষ্টতম উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে ইসরায়েলি বর্বরতায়। গাজায় এই গণহত্যার প্রতিবাদ হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। সারা বিশ্বেই শান্তিকামী মানুষ এই গণহত্যা বন্ধ, যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারও গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। সারা বিশ্বে ৭ এপ্রিল পালিত হয়েছে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি। গাজার গণহত্যার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশও। বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সোমবার বন্ধ ছিল। দেশজুড়ে হয়েছে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ।
কিন্তু এই প্রতিবাদ মিছিল এবং বিক্ষোভে কিছু সুযোগসন্ধানী বিভিন্ন স্থানে দোকানপাটে হামলা করেছে, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করেছে। এ ধরনের বড় জমায়েত নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের সচেষ্ট থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যেগুলো বড় জমায়েত সেগুলোর মাধ্যমে কিন্তু কেউ না কেউ সুযোগ নিতেই পারে। সুতরাং এইটাও কিন্তু রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ও যারা আইনশৃঙ্খলা যারা নিয়ন্ত্রণ করে, সামরিক-বেসামরিকে যারা আছেন তাদেরকে এইটা খুব গুরুত্বের সাথে খেয়াল রাখতে হবে।’
কাজী মো. মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘সামাজিক নৈরাজ্য রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, চিন্তায় ফেলে দেয়। সুতরাং এখন সরকারের উচিত এ ধরনের কেউ যাতে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।’
অন্যায়ের প্রতিবাদে অন্যায়, সভ্য সমাজের কলঙ্ক বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ জন্য আইন না মানার প্রবণতাকে দায়ী করছেন তারা।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘আইনের শাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শতভাগ নিয়ন্ত্রণ, এই বিষয়গুলো নিয়ে যথেষ্ট তর্কবিতর্ক রয়েছে। দেশের একটি অংশ, তারা সভ্যতার যে ছোঁয়া কিংবা যোগ্য বা আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে নিজেদের যে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই কিংবা প্রচেষ্টা, এই জায়গাগুলো থেকে যথেষ্ট পিছিয়ে আছে। সাম্প্রতিক সময় বিক্ষোভের সময় দোকান ভাঙচুর কিংবা লুটপাটের যে ঘটনা সেটা কিন্তু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।’
তবে, ঘটনার পরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ভিডিও ফুটেজ দেখে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে অর্ধশত।