বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের মালিয়ানডাঙ্গা গ্রামের মবো প্রামানিকের পুত্র পিন্টুর স্ত্রী দুই সন্তানের জননীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের তল্লাতল্লা গ্রামের গেদার পুত্র দুই সন্তানের জনক পরকীয়া করতে গিয়ে স্থানীয় জনগণের কাছে হাতেনাতে ধরা খেয়েছে। পরে ১২ লাখ টাকা কাবিনে বিয়েও করেন ওই ব্যক্তি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় , মালিয়ানডাঙ্গা এলাকার পিন্টুর স্ত্রী দুই সন্তানের জননীর সঙ্গে দুই সন্তানের জনক পিন্টু মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলে আসছিল। সূত্র ধরে গত (১২ এপ্রিল) শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটায় ওই মহিলার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে ওই দুই সন্তানের জনক পিন্টু পরকীয়া করতে মালিয়ানডাঙ্গা এলাকার ওই দুই সন্তানের জননীর বাসায় গেলে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে পিন্টু মিয়া ও দুই সন্তানের জননীকে ঘরের ভিতর আটক করে । রবিবার সকালে খবর পেয়ে শত শত উৎসুক জনতা পরকীয়া দম্পতিকে এক নজর দেখতে বাড়িতে ভিড় জমায়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পরে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সংঘবদ্ধ হয়ে সালিশবৈঠক করে দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর পূর্বের স্বামীর সঙ্গে তালাকও করানোর পর দুই সন্তানের জনক পরকীয়া প্রেমিক পিন্টুর সাথে (১৩ এপ্রিল) দুপুর বারোটায় ১২ লাখ টাকা দেনমোহরের মাধ্যমে নিকাহ্ রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। পরকীয়া প্রেমিক পিন্টু শেষ স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি পদে আছেন এবং অগ্রণী ব্যাংক তরনীহাট শাখায় কর্মরত রয়েছেন।
বিয়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের কাজী শরিফ উদ্দিন বলেন, আমি ১২ লক্ষ টাকায় নিকাহ্ রেজিস্ট্রি করিয়েছি। ছেলে তার প্রথম স্ত্রী কে তালাক দিয়েছে এবং মেয়ে তার স্বামীকে তালাক দিয়েছে। সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বৈঠকের মাধ্যমে বিয়ে করানো হয়েছে। তারা আমাকে যেমন ভাবে লিখতে বলেছে আমি শুধুমাত্র লিখেছি। একইদিনে তালাক ও বিবাহ কোন আইনে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিকাহ্ রেজিস্ট্রি করা গেলেও বিবাহ সম্পূর্ণ করতে হয় ৯০ দিনের পর।
এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভেলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শিপন তিনি বলেন, যেহেতু তুই সন্তানের জনক ও জননী তারা একে অপরকে ভালোবাসে উভয় পক্ষের পরামর্শ ও সাক্ষী মারফত তাই তাদের বিয়ে সম্পূর্ণ করা হয়েছে।