রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা, গরমে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নগরবাসী। যথাসময়ে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মস্থলগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২২ মে) সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকালে তীব্র যানজট থাকলেও, দুপুরে কারওয়ান বাজার, পল্টন, মহাখালী, বনানীসহ বেশ কিছু এলাকায় ছিল গাড়ির জটলা। গাড়ি মাঝে মাঝে একটু গেলেও থেমে থাকছে বহুক্ষণ। যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানো-নামানো তো আছেই।
যাত্রী আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, বেলা ১১টায় গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজট ছিল। এসময় অনেকে বাস থেকে নেমে হেঁটে যান। মূল সড়কে গাড়ি পার্কিং, রাস্তায় দোকানের জন্য আনা পণ্য ওঠা-নামাসহ নানা কারণে সড়কে বাসের জটলা বাঁধে।
শামিম আহমেদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। প্রতিদিনই তাকে বাসে চলাফেরা করতে হয়। আজ সকালে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে তিনি ব্যাপক যানজটে পড়েন বলে জানান।
তিনি জানান, মহাখালী, কাকলী ও সাতরাস্তায় অফিসের সময় যানজট থাকায় কর্মজীবীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন। সাধারণত দুপুরে কাকরাইল মোড়ে জ্যাম থাকে। মতিঝিল অফিস পাড়া এলাকায় দুপুরের পর অসহনীয় মাত্রায় গাড়ির জট থাকে।
সকালে তীব্র, দুপুরে সহনীয় যানজট
এ সড়কে চলাচলকারী ব্যবসায়ী মাহফুজুল হক বলেন, সকালের দিকে উত্তরা থেকে প্রাইভেটকারে মতিঝিল এলাকায় অফিসে যাওয়ার জন্য রওনা দিলেও সঠিক সময়ের এক ঘণ্টা পর অফিসে এসেছি। দুপুরে সড়কের অবস্থা ভালো ছিল। অফিস শেষে হয়তোবা আবার গাড়ির জট লাগতে পারে।
সরেজমিন দেখা গেছে, দুপুরে মিরপুর সড়কে শ্যামলির পর তীব্র জ্যাম ছিল। ধানমণ্ডি ২৭, সিটি কলেজ এলাকায়ও জ্যাম। স্কুলে ছুটির পর মিরপুর সড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। দুপুরে ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত অসহনীয় পর্যায়ে যানজট ছিল।
সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও দুপুরে মোটামুটি ফাঁকা ছিল। ঈদের ছুটির পর রাজধানীতে অফিসগামী ও সাধারণ মানুষসহ রাস্তায় যাতায়াতকারী যাত্রীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ঢাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে মানুষ। আর এ বাড়তি মানুষের চলাচলের কারণে সড়কগুলোতে এখন তীব্র যানজট দেখা যাচ্ছে।