২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১০:৫২:১৩ অপরাহ্ন
‘ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাটি করা ঠিক হয়নি’
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৪-২০২৫
‘ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাটি করা ঠিক হয়নি’

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলাটি ঠিক হয়নি এবং এটাকে অপ্রয়োজনীয় হয়রানি বলে মন্তব্য করেছেন দুদকের পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী আসিফ হাসান।


ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলা বাতিলের রায়ের পর আসিফ হাসান এ মন্তব্য করেন। 


এ সময় দুদক আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলাটি করা একেবারেই ঠিক হয়নি। এখানে কোনো (ক্রিমিনাল লাইবেলিটি) ফৌজদারি অপরাধের উপাদান ছিল না। এটা একজন নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে পুরোপুরি (আনন্যাসাসারি হ্যারাসমেন্ট) অপ্রয়োজনীয় হয়রানি।’


দুদক আইনজীবী আরও বলেন, ‘এই পুরো কেসটাই ছিল একটা হিসাব নিকাশের বিষয়। আর দেনা পাওনা যেখানে কম বেশি হয় সেটা অবশ্যই সেটা সিভিল কোর্টে নিষ্পত্তি হবে। সেজন্য কোনো মানি লন্ডারিং বা আত্মসাতের মামলা হবে না। আর এই মামলায় তো কোনো আত্মসাৎ না। কারণ, দিয়েই দিছে পুরো টাকাটা। তাই এখানে কোনো ক্রিমিনাল লাইবেলিটি থাকেই না।’


আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুদকের করা এক মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাত ব্যক্তির করা আপিল মঞ্জুর ও হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে রায় দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।


প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে বুধবার এই রায় দেন।


আজকের এই রায়ের ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি বাতিল হয়ে গেল বলে জানান উভয়পক্ষের আইনজীবীরা।


আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আসিফ হাসান।


আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। অপর ছয় কর্মকর্তা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।


একপর্যায়ে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলাটির কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তৎকালীন শীর্ষ ছয় কর্মকর্তা গত বছরের ৮ জুলাই আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে আদেশ দেন। হাইকোর্টের সে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে এর মধ্যেই রাষ্ট্র বা দুদকের পক্ষে পিপি মামলাটি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। গত ১১ আগস্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক। অন্যদিকে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে গত বছরের ২১ অক্টোবর আপিল বিভাগ আদেশ দেন। সে অনুযায়ী, আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের (২৩ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।


শেয়ার করুন