৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ০৯:০৪:৪০ অপরাহ্ন
পাকিস্তানে ভারত-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী আটক, উদ্ধার ড্রোন ও বিস্ফোরক
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৪-২০২৫
পাকিস্তানে ভারত-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী আটক, উদ্ধার ড্রোন ও বিস্ফোরক

পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, দেশটির অভ্যন্তরে ভারত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাসী তৎপরতার প্রমাণ তারা হাতে পেয়েছে। এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা জানায়, সম্প্রতি এক ভারত-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে, যার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভারতীয় ড্রোন ও বিস্ফোরকসহ অন্যান্য উপকরণ।  


মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এই বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী। পাকিস্তানি দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।  


তিনি জানান, গত ২৫ এপ্রিল ঝিলাম বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ‘আব্দুল মজিদ’ নামের এক পাকিস্তানি নাগরিককে আটক করা হয়। অভিযুক্ত মজিদ ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছ থেকে সন্ত্রাসবিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে দাবি করা হয়। তার কাছ থেকে একটি ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি), দুটি মোবাইল ফোন এবং ৭০ হাজার রুপি জব্দ করা হয়েছে। পরে তার বাসা থেকে আরও ১০ লাখ রুপি ও একটি ভারতীয় ড্রোন উদ্ধার করা হয়।  


সেনা মুখপাত্রের দাবি, মজিদের যোগাযোগ ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক জুনিয়র কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সুবেদার সুখবিন্দারের সঙ্গে। তিনি মজিদকে নির্দিষ্ট স্থানে বিস্ফোরক সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিলেন। উদ্ধার হওয়া সরঞ্জামের ফরেনসিক বিশ্লেষণে এমন প্রমাণ মিলেছে যা যে কোনো আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ সংস্থার যাচাই করার উপযোগী বলেও দাবি করেন তিনি।  


চৌধুরী বলেন, এই ঘটনা ভারতের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের একটি ক্ষুদ্র উদাহরণ মাত্র। তিনি অভিযোগ করেন, কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হয়, যা অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আড়াল করতেই করা হয়েছে।  


উল্লেখ্য, অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁও এলাকায় গত সপ্তাহে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এর জেরে ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে রয়েছে সিন্দু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানে নিযুক্ত প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা প্রত্যাহার এবং কূটনৈতিক কর্মী সংখ্যা হ্রাস।  


এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  


বৈঠকে জানানো হয়, সিন্দু পানি চুক্তি বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় গৃহীত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা একতরফাভাবে স্থগিত করার সুযোগ নেই। পাকিস্তান সরকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, পানির প্রবাহ রোধ করা হলে তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে এবং এর জবাব দেওয়া হবে জাতীয় শক্তির সব পর্যায় থেকে। 


শেয়ার করুন