ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাল্টা জবাবে রাতেই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। সকাল থেকে নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি চলছে দুদেশের। এতে অন্তত সাত জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। ভারতের কয়েকটি পত্রিকা অবশ্য মৃত্যুর সংখ্যা ১০ জন বলে দাবি করছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোলে গোলাবর্ষণে হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে ভারতের একজন কর্মকর্তা। পিটিআই জানিয়েছে, দুজন শিশু ও একজন মহিলাসহ অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। একই হামলায় ৩৮ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
ভারতের গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ভারতীয়দের মৃতের সংখ্যা ১০ জন ছাড়িয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা হামলায় অংশ নেওয়া ভারতের পাঁচটি জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করেছে। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেডের সদরদপ্তর ও তল্লাশি চৌকিও গুঁড়িয় দেওয়ার দাবি করেছে তারা। ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, কাশ্মীরে পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া গোলার আঘাতে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এদিকে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আমি বলতে চাই যে নিজের মতো সময় এবং জায়গা বেছে নিয়ে এটার জবাব দেবে পাকিস্তান। এই যে উস্কানি দেওয়া হল, সেটার জবাব দেওয়া হবে। ভারতের ক্ষণস্থায়ী আনন্দ চিরস্থায়ী দুঃখে পরিণত হবে।
ভারত দাবি করছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনো পরিকাঠামোয় আঘাত হানেননি তারা। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং আঘাত হানার প্রশ্নে ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এরমাঝে জিও নিউজ, আল জাজিরাসহ অনেক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারত ইতোমধ্যে সাদা পতাকা উত্তোলন করেছে।