চীন ফের অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানকে নতুন নামে অভিহিত করার উদ্যোগ নেওয়ায় তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।
বুধবার (১৪ মে) নয়াদিল্লি জানিয়েছে, এ ধরনের ‘সৃজনশীল নামকরণ’ রাজ্যের অবস্থান নিয়ে বাস্তবতা বদলাতে পারবে না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।
চীনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় রোববার অরুণাচলের জন্য পঞ্চম দফায় ‘মান্য ভূ-নাম’ প্রকাশ করে। এর আগে ২০২৫ সালের মার্চে ৩০টি, ২০২৩ সালের এপ্রিলে ১১টি, তারও আগে ১৫টি এবং ২০২১ ও ২০১৭ সালে ছয়টি করে নাম প্রকাশ করেছিল চীন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, চীন অরুণাচল প্রদেশের স্থানের নাম পরিবর্তন করে এক অর্থহীন ও হাস্যকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এমন উদ্যোগকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছি। নাম বদলালেই বাস্তবতা বদলায় না—অরুণাচল প্রদেশ ছিল, আছে এবং থাকবে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।’
অন্যদিকে, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান পাল্টা দাবি করে বলেন, ‘জাংনান (চীনা ভাষায় অরুণাচলের নাম) চীনের এলাকা। চীনের সরকার এই অঞ্চলের কিছু স্থানের নাম সংশোধন করেছে এবং এটি চীনের সার্বভৌম অধিকারভুক্ত বিষয়।’
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, চীনের সর্বশেষ তালিকায় মোট ২৭টি ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে—এর মধ্যে আছে পর্বত, নদী, হ্রদ, গিরিপথ এবং আবাসিক এলাকা। প্রতিটি নাম চীনা অক্ষরে, তিব্বতি ভাষায় ও পিনইনে লেখা হয়েছে, সঙ্গে জিও-কোঅর্ডিনেট এবং উচ্চ রেজুলেশনের মানচিত্র সংযুক্ত।
চীনের মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘রাষ্ট্রপরিষদের (চীনের মন্ত্রিসভা) ভূ-নাম সংক্রান্ত নীতির আলোকে এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সহযোগিতায় আমরা জাংনানের কিছু ভূ-নাম সংশোধন করেছি।’
এই ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটল, যখন ভারত-চীন সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা উন্নতির দিকে ছিল। গত বছর পূর্ব লাদাখে চার বছরব্যাপী সামরিক অচলাবস্থার অবসান ঘটে—এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমার আভাস মিলেছিল।