২২ জুন ২০২৫, রবিবার, ০২:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন
ইরানের ৩ পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন হামলা, যা বলল তেহরান
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৬-২০২৫
ইরানের ৩ পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন হামলা, যা বলল তেহরান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ভেতরে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করেছে। এর পরপরই ইরানি কর্তৃপক্ষ একাধিক বিবৃতি ও পদক্ষেপের মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।


আঘাতপ্রাপ্ত স্থাপনাগুলো হলো- ফোরদো, নাতান্জ ও ইসফাহান।


এক বিবৃতিতে ইরানের পারমাণবিক সংস্থা (AEOI) বলেছে, ‘আজ (শনিবার) ভোরে ফোরদো, নাতান্জ ও ইসফাহানের স্থাপনাগুলোতে শত্রুর বর্বরোচিত হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও বিশেষভাবে পারমাণবিক অস্ত্র না ছড়ানোর চুক্তি (NPT)-এর সরাসরি লঙ্ঘন।’


তারা আরও দাবি করেছে, ‘এই আক্রমণ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর নিষ্ক্রিয়তা ও অংশগ্রহণের ছায়ায় সংঘটিত হয়েছে, যা নিন্দনীয়।’


বিবৃতিতে বলা হয়, এই স্থাপনাগুলো আইএইএ-র পর্যবেক্ষণাধীন ছিল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই এ হামলার দায় স্বীকার করেছেন—যা আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।


সংস্থাটি জাতিসংঘ ও বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘বিশ্ব সম্প্রদায় যেন এই ‘আদিম যুগের’ আইনে ফিরে যাওয়াকে প্রতিহত করে এবং ইরানের ন্যায্য অধিকার সমর্থন করে।’


ইরানের পারমাণবিক সংস্থা আরও জানায়, ‘শত্রুর ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও দেশের হাজার হাজার বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞের প্রচেষ্টায় জাতীয় উন্নয়নের এই পথ বন্ধ হবে না। ইরান তার আইনগত অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’


এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি (IRIB) জানিয়েছে, হামলায় ফোরদো স্থাপনাস্থলের প্রবেশদ্বার ও বহির্গমন গেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


গণমাধ্যমটি আরও জানায়, ইরানের কাশান ও ইসফাহানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যেখানে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর চারপাশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল।


এদিকে ক্বোম প্রদেশের মুখপাত্র মর্তেজা হেইদারি বলেন, ‘শত্রুপক্ষ ফোরদোর অংশবিশেষে সফলভাবে আঘাত হেনেছে।’


তবে মার্কিন হামলার আগেই পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আগেই খালি করা হয় জানিয়ে আইআরআইবি-এর রাজনৈতিক উপপরিচালক বলেন, ‘তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা হামলার অনেক আগেই খালি করা হয়েছিল।’


এদিকে এ হামলার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানের অভ্যন্তরে পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক পদক্ষেপ নিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের সম্ভাবনা তীব্রতর হলো এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়তে পারে।সূত্র: মেহর নিউজ

শেয়ার করুন