২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ০৪:০৭:১৬ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে ড্যাস কালেকশনের মালিকানা নিয়ে বিভ্রান্তি ও হয়রানির অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৬-২০২৫
রাজশাহীতে ড্যাস কালেকশনের মালিকানা নিয়ে বিভ্রান্তি ও হয়রানির অভিযোগ

রাজশাহী মহানগরীর ড্যাস কালেকশনের মালিকানা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো, প্রকৃত মালিককে ভয়-ভীতি দেখানো ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২২ জুন) বিকাল ৪ টায় ড্যাস কালেকশন শো-রুমের সামনে গ্যাস কালেকশনের প্রকৃত মালিকপক্ষের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুফিয়া বেগম পলির পক্ষ থেকে তার বড় মেয়ে এহিদিন নেসা। 


সংবাদ সম্মেলনে সুফিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী মোঃ আলমগীর ড্যাস কালেকশন গার্মেন্টস রকমারী বস্ত্র প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। ব্যাবসায়িক কারনে আমার স্বামী, মোছাঃ সাবিনা পারভীনের স্বামী মোঃ আমিরুল ইসলাম এবং আমিরুল ইসলামের পিতা: কামাল উভয়ের সাং- ৩১৭ কাদিরগঞ্জ, থানা: বোয়ালিয়া, জেলা: রাজশাহীর নিকট হতে ২,০০,০০০০০/- (দুই কোটি) টাকা ঋণ গ্রহণ করে এবং ১,০০,০০০০০/- (এক কোটি) টাকা পরিশোধ করি এবং ১ কোটি টাকা পাওনা থাকে। কিন্তু আমার স্বামী প্রতিষ্ঠান চালাতে না পারলে ব্যাংক ঋণ বৃদ্ধির কারণে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা হয় এবং পারভীনকে দিয়ে আমিরুল ইসলাম আমার স্বামীর নামে আদালতে মামলা করেন। 

তিনি আরোও অভিযোগ করেন, আমিরুল ইসলাম ওরোফে মামুন আমাকে ও আমার স্বামীকে হুমকি দিয়ে জানায় যে, সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ম্যাসেঞ্জার পোষ্টে চাকুরী করে। তার কথামত না চললে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে মিথ্যা হয়রানী মুলক মামলা দিয়ে ফাসানোর ব্যবস্থা করবে। এছাড়া ৫ আগস্টের আগে তার বন্ধু রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনির প্রভাব খাটিয়ে আমাদের পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্ঠা করে।


সুফিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী জেলে থাকায় আমি দুই কন্যা ও এক নাবালক পুত্রকে নিয়ে ভীত এবং অসহায়। আমিরুল ইসলাম প্রতারণার আশ্রয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আমাকে ও আমার স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে ভয়ভীতির মাধ্যমে উকিল ঠিক করে আমাদেরকে না বুঝতে দিয়ে সোলেনামায় সহি করিয়ে সোলেনামা করে এবং অঙ্গীকারের আপোষনামার নোটারী করে এবং আমার দোকান পরিচালনা শুরু করে। 


তিনি আরোও বলেন, ব্যবসায় আমিরুল ইসলাম আমার দোকানের জিনিসপত্র বিক্রি করে, এবং বিক্রয়লব্ধ টাকা গ্রহণ করিলেও ব্যাংক ঋণ পরিশোধসহ চুক্তি মোতাবেক কোন কাজ বা শর্ত পালন করেন নাই। আমিরুল ইসলাম প্রতারণা করে দক্ষিণ নওদাপাড়ার বাড়ি ব্যাংক বন্ধক থাকা সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে পারভীনের নিকট হতে আমিরুল ইসলাম নিজ নামে রেজিষ্ট্রি গ্রহণ করেন এবং মোঃ আমিরুল ইসলামের নামে খারিজ করেন। এ ব্যাপারে ব্যাংক খারিজ বাতিলের দরখাস্ত প্রদান করেন। 

আমি এ বিষয়ে চুক্তি পালনের কথা বললে আমিরুল ইসলাম আমাকে আর্মি দিয়ে হয়রানী করার হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এমতাবস্থায় বিষয়টি তদন্ত পূর্বক মোঃ আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, গত ২০/০৬/২৫ তারিখে ড্যাস কালেকশন গার্মেন্টস রকমারী বস্ত্র প্রতিষ্ঠান আমি নিজের অধীনে ফেরত পাই। কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠান মোছাঃ সাবিনা পারভীন এর স্বামী মোঃ আমিরুল ইসলামকে বুঝিয়ে দেও্য়াড় সময় আমার এই প্রতিষ্ঠানের ১০ কোটি ১০ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল এবং তার প্রমাণ ও আমাদের কাছে আছে। কিন্তু আমি বুঝে পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি টাকার কম মাল পায়। এবং বাকি ৮ কোটি টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে আমাকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে।

এ অবস্থায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তদন্তপূর্বক সম্পদ ফেরত এবং আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।


শেয়ার করুন