২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০৫:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন
টঙ্গীতে বারাকা নারী ডিআইসি’র আয়োজনে সুরক্ষা কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৬-২০২৫
টঙ্গীতে বারাকা নারী ডিআইসি’র আয়োজনে সুরক্ষা কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত

গাজীপুরের টঙ্গীর নতুনবাজার নারী ডিআইসি কার্যালয়ে বারাকা নারী ড্রপ-ইন সেন্টারের উদ্যোগে আজ বুধবার  গত (২৫ জুন ২০২৫) দ্বিতীয়বারের মতো ‘সুরক্ষা কমিটি’র সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি পরিচালনা করেন বারাকার সহকারী মাঠকর্মকর্তা সুলতানা আক্তার। শুরুতেই পূর্ববর্তী সভার সিদ্ধান্তগুলো ফলোআপ করা হয় এবং তার অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়।


সভায় প্রজেক্ট অফিসার গরেট্টি রত্না পেরেরা সুরক্ষা কমিটি গঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কার্যক্রম ও গঠনতন্ত্র বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর উপস্থাপনার পর স্কুলশিক্ষিকা মিসেস ফারজানা জেসমিন গঠনতন্ত্র অনুমোদনের প্রস্তাব দেন এবং উপস্থিত সবাই সর্বসম্মতভাবে তা গৃহীত করে। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে একমত পোষণ করেন যে, তাঁরা নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন।


সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সমাজিক দলের নেত্রী মিসেস রত্না বেগমকে সুরক্ষা কমিটির সভানেত্রী এবং জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটির মহাসচিব নাসির উদ্দিন বুলবুলকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করা হয়। সভার আলোচনায় নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া, টঙ্গী পূর্ব থানার সঙ্গে সমন্বয় আরও জোরদার করা এবং থানার নারী ও শিশু ডেক্স থেকে প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব উঠে আসে। সেইসঙ্গে কমিটির তালিকা থানায় জমা দেওয়া ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি উপ-কমিটি গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়।


সভায় আরও আলোচনা হয় টঙ্গী এলাকায় মাদকের ভয়াবহতা ও এর সহজলভ্যতা নিয়ে। সিদ্ধান্ত হয়, কমিটির সদস্যরা যার যার অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারে অংশ নেবেন এবং সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় একটি গ্রুপ গঠন করা হবে। বারাকা ফিমেল ডিআইসি যেসব এলাকায় কাজ করছে, সেখানে তিন সদস্যবিশিষ্ট সাব-কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়, যারা মূল কমিটিকে সহায়তা করবে।


সভা শেষে প্রজেক্ট অফিসার গরেট্টি রত্না পেরেরা উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


সুরক্ষা কমিটি এমন একটি কাঠামো, যার মাধ্যমে নারী ও শিশুদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কমিটি বিশ্বাস করে, যৌথভাবে কাজের মাধ্যমেই সমাজ থেকে সহিংসতা, বৈষম্য ও নির্যাতন প্রতিরোধ সম্ভব।

শেয়ার করুন