০৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ০৫:১৫:৪৬ অপরাহ্ন
ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কারের জন্য পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউজ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৭-২০২৫
ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কারের জন্য পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউজ

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এ নিয়ে ইসলামাবাদ বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার এক উত্তপ্ত অধ্যায়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে পাকিস্তান এই প্রস্তাব দিয়েছে।


মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।


এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট পাকিস্তানের এই মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য একটি বিপর্যয়কর সামরিক উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্পের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে পাকিস্তান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


লেভিট বলেন, ‘এই মনোনয়ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃঢ় কূটনৈতিক পদক্ষেপের স্বীকৃতি, যা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধে সহায়ক হয়েছে।’


সম্প্রতি ইসলামাবাদ ঘোষণা করে, ৬ মে ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের কারণে তাকে শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করবে। ইতোমধ্যে নরওয়ের নোবেল কমিটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।


ট্রাম্পকে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের এক রিপাবলিকান সদস্যও ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেন, ইসরাইল-ইরান উত্তেজনা প্রশমনে তার ভূমিকার কারণে।


ট্রাম্প এর আগেও একাধিকবার বলেছেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ এড়াতে সহায়তা করার জন্য তিনি নোবেল পুরস্কারের যোগ্য। তবে তার ভাষায়, ‘তারা আমাকে দেবে না, নোবেল তো শুধু লিবারেলদের জন্য।’



প্রসঙ্গত, ভারতের একাধিক ‘অপ্ররোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনয়া নুম মারসুস’ নামে বড় পরিসরে পাল্টা সামরিক অভিযান চালায় এবং একাধিক ভারতীয় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা করে।


পাকিস্তান ছয়টি আইএএফ যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে তিনটি রাফাল এবং ডজনখানেক ড্রোন ভূপাতিত করে। অন্তত ৮৭ ঘণ্টা স্থায়ী এই যুদ্ধ ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়।


পাকিস্তানের আইএসপিআর জানিয়েছে, সাম্প্রতিক এই সামরিক সংঘর্ষে ভারতের হামলায় ১৩ জন সামরিক সদস্যসহ মোট ৫৩ জন শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪০ জনই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক।


শেয়ার করুন