২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ০৫:৪৪:৪২ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে অনলাইনে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন যোদ্ধারা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৭-২০২৫
রাজশাহীতে অনলাইনে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন যোদ্ধারা

জুলাই সে তো ভোলার নয়। গত বছর এ মাসেই শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় করার মহাযজ্ঞ শুরু হয়। ছাত্রদের দিনভর নানা কর্মসূচির বিপরীতে ২০২৪ এর ২৬ জুলাই রাজশাহীতে কারফিউ চলছিল। কারফিউ চলায় সরাসরি আন্দোলনে নামতে পারেননি শিক্ষার্থীরা। মাত্র ৩ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়।


আবার আন্দোলনকারীদের একটি পক্ষ আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে আগের দিন ২৫ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন। দৃশ্যমান রাস্তায় আন্দোলন করতে না পারলেও এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আগামীতে কীভাবে আন্দোলন করা যায় তা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জুলাই যোদ্ধারা। 


২৬ তারিখের আগে পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পুলিশ আটকের চেষ্টা করলেও শিক্ষকদের সহযোগিতার কারণে পারেনি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা থানায় বসে থেকে শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে সমর্থনকারী শিক্ষকরা। 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার ২৬ জুলাই সম্পর্কে বাসস’কে বলেন, কারফিউ শুরু হওয়ার আগে আন্দোলনে উত্তাল ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগরের কিছু এলাকা। আন্দোলন দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের ক্যাডাররা হামলা চালিয়েছেন। কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করেই আন্দোলন চলছিল। তবে ২৬ জুলাই কারফিউ থাকার কারণে মাঠে কোনো আন্দোলন করা সম্ভব হয়নি। 


তিনি বলেন, তবে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে আগামী দিনের আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আমাদের উপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজর রাখা হতো। ২৬ জুলাই আমাদের জন্য একটি দুর্বিষহ দিন ছিল। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাদেরকে আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। সব ছাপিয়ে আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছি। 


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ ইফতিখারুল আলম মাসউদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার পাশাপাশি আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে সরাসরি রাজপথে ছিলেন। শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন। 


অধ্যাপক ড. মোঃ ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, আন্দোলন করার জন্য আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা ও প্রশাসন আমাদের নানাভাবে হয়রানি করেছেন। ২৬ তারিখ কারফিউ থাকার কারণে সরাসরি মাঠের আন্দোলন হয়নি। কিন্তু আন্দোলন চালিয়ে যেতে আমরা সার্বক্ষণিক সমন্বয় করেছি। তখন আমাদের উপর নজরদারি করা হচ্ছিল।


উত্তপ্ত ছিল রাজশাহী। তবে জেলায় সেদিন বড় ধরনের কোনো আন্দোলন হয়নি।

শেয়ার করুন