০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ০৪:০৪:২২ পূর্বাহ্ন
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি শিগগির, ৮ সদস্যর কমিটি গঠন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৯-২০২৫
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি শিগগির, ৮ সদস্যর কমিটি গঠন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শিগগির প্রকাশ করা হতে পারে। এ লক্ষ্যে ৮ সদস্যের ‘কেন্দ্রীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ কমিটি’ গঠন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।


রোববার (৩১ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রেবেকা সুলতানার সই করা প্রজ্ঞাপনে নিয়োগ কমিটি গঠনের তথ্য জানানো হয়।


প্রজ্ঞাপনে বলা আছে, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ অনুযায়ী নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চেয়ারম্যান করা হয়েছে এবং সদস্যসচিব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন)।


কমিটিতে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন-প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রাজস্ব), উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বিদ্যালয়), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রতিনিধি।


এর আগে গত ২৮ আগস্ট রাতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।


বিধিমালা অনুযায়ী- সহকারী শিক্ষকের ৯৩ শতাংশ পদে নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা এবং ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা পূরণ করা হবে।


বাকি ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ১ শতাংশ এবং ১ শতাংশ থাকবে শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য।


তবে কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী এসব পদ পূরণ করা হবে। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে ন্যূনতম স্নাতক। শিক্ষাজীবনের কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি থাকা যাবে না।


নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদও সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সরাসরি নিয়োগে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর করা হয়েছে, আগে যা ছিল ৩০ বছর।


সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় থাকবে ৯০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় ১০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় থাকবে ২৫, ইংরেজিতে ২৫, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ২০ নম্বর। উভয় পরীক্ষায় সর্বনিম্ন পাস নম্বর ৫০ শতাংশ।


প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের নিয়োগযোগ্য শূন্য পদের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৩টি। তবে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কত পদ শূন্য রয়েছে, সে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।


এছাড়া সংগীত, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকের জন্য ৫ হাজার ১৬৬টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব পদে নিয়োগের জন্য আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।


শেয়ার করুন