১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার, ১১:৫০:১৪ পূর্বাহ্ন
বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই তিস্তার পানি, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৯-২০২৫
বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই তিস্তার পানি, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে আবারও তিস্তার পানি বেড়ে গেছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির স্তর রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। 


হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ের নীলফামারীর ডিমলা ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কিছু জায়গায় ইতোমধ্যেই পানি ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 


স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, পানির স্তর বাড়তে থাকলে চরাঞ্চল ও নিম্নভূমি প্লাবিত হতে পারে। এতে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ির ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় রাখার চেষ্টা করছেন।


ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়ছে। এভাবে পানি বাড়লে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আমরা সতর্ক অবস্থান রয়েছি। ব্যারাজের সব স্লুইসগেট খোলা রাখা হয়েছে।


এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো) জানিয়েছে, আগামী তিন দিনে (১৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর) রংপুর বিভাগের প্রধান নদীগুলো, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি সমতল আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মধ্যে তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ সময় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নদীপাড়ের মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


শেয়ার করুন