বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। অতিপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষদের। তবে তাদের ওপর এই বাড়তি চাপ কমাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানির দাম কমানো, আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া, রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বহু উদ্যোগ।
যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন সিনেটে সম্প্রতি ‘ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট অব ২০২২’ নামে প্রায় ৪০ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকার একটি পরিকল্পনা পাস হয়েছে৷ এতে ওষুধের দাম কমানো, করপোরেট কর বাড়ানো, জ্বালানি সাশ্রয়ে উৎসাহ দিতে আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷
ব্রাজিল
গত জুলাই মাসে দেশটিতে দুবার পেট্রোলের দাম কমানো হয়৷ আরও এক দফা কমাতে রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা পেট্রোব্রাসকে চাপ দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো ও সংসদ সদস্যরা।
জার্মানি
জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় চাকরিজীবীদের বেতনের সঙ্গে এককালীন ৩০০ ইউরো দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি৷ এছাড়া তিন মাসের জন্য পেট্রোল-ডিজেলের কর এবং গণপরিবহনের ভাড়া কমানো হয়েছে৷
ফ্রান্স
সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে গত ৩ আগস্ট ১ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ পাস করেছে ফরাসি পার্লামেন্ট। এতে পেনশনসহ বেশ কিছু কল্যাণমূলক ভাতার পরিমাণ বাড়বে৷ পাশাপাশি, চাকরিজীবীদের আরও বেশি করমুক্ত বোনাস দিতে কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করা হবে৷
ইতালি
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের খরচ কমাতে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে ইতালি।
ভারত
অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমাতে গত মে মাসে গম ও চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত৷ দেশটিতে ভোজ্যতেল আমদানিতে করও কমানো হয়েছে৷
জাপান
গত এপ্রিলে ৯ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে জাপান৷ এর আওতায় গ্যাসোলিনের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভর্তুকি এবং বাচ্চা রয়েছে এমন নিম্নবিত্ত পরিবারে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে৷ জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়লে সহায়তাও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা৷
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত
মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশই গত জুলাই মাসে সামাজিক কল্যাণ খাতে ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে৷ আমিরাতে নিম্নআয়ের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা দ্বিগুণ করা হয়েছে৷ আর সৌদি বাদশাহ সালমান ৫০ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন৷
তুরস্ক
তুরস্কে গত জুলাই মাসে সর্বনিম্ন মজুরি ৩০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে৷ এর আগে গত বছরের শেষের দিকে সর্বনিম্ন মজুরি বাড়ানো হয়েছিল প্রায় ৫০ শতাংশ৷