মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনার সুযোগ দিয়ে রোববার রায় দিয়েছিল ইসরাইলের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
কিন্তু বুধবার সেই রায় বাতিল করে দিয়েছে একটি আপিল আদালত।
মেজিস্ট্রেট কোর্টের দেওয়া রায়ে ক্ষুদ্ধ হয়েছিলেন ফিলিস্তিনিরা।
আল আকসা মসজিদে ইহুদিদের পুরনো দুটি মন্দিরের অবশিষ্টাংশ আছে বলে দাবি করে ইহুদিরা। এই আল আকসা মুসলমান-ইহুদিদের দ্বন্দ্বের অন্যতম বিষয়।
কয়েক দশকের পুরনো একটি চুক্তি অনুযায়ী, আল আকসায় ধর্মীয় আচার পালন বা প্রার্থনা থেকে বিরত থাকার শর্তে ইহুদিদের প্রবেশ করতে সুযোগ দেয় ইসরাইল।
তবে উগ্রপন্থী ইহুদিরা আল আকসায় প্রার্থনা করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া তারা আল আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে ইহুদি মন্দির তৈরির দাবিও করে থাকে।
আল আকসায় ইহুদিদের প্রার্থনার সুযোগ দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে রায় দেওয়া হয়, তিনজন ইহুদি যুবক সেখানে প্রার্থনা করার চেস্টা করার পর এবং পুলিশ তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর।
আল-আকসা চত্বরে প্রার্থনার পর তিন ইহুদি তরুণকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় পুলিশ।
পরে জেরুজালেম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের এই সিদ্ধান্তকে সফলভাবে চ্যালেঞ্জ জানান তারা। রায়ে আদালত বলেছিল, তাদের কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্টের পর্যায়ে পড়ে না।
আদালতের এমন আদেশের প্রতিবাদ জানান ফিলিস্তিনিরা। এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।
এমন হুঁশিয়ারির পর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার অঙ্গীকার করে ইসরাইল।
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে বুধবার জেরুজালেম জেলা আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্র। এরপর ফিলিস্তিনি মুসলিমদের পক্ষেই আসে রায়।
আদেশে বিচারক এইনাত আভমান-মোলের বলেন, ‘ আল আকসায় (টেম্পল মাউন্টের) বিশেষ সংবেদনশীলতা নিয়ে বাড়াবাড়ি হতে পারে না।’
বিচারক বলেন, ইহুদিদের সেখানে প্রার্থনা করার স্বাধীনতা শর্তহীন নয়। আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষার মতো অন্যান্য স্বার্থকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।