গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে ৪৪ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয় অনিয়মের অভিযোগে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের কারণে ১৪৫ কেন্দ্রের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৪ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছি। কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিচ্ছি।
নির্বাচন ইসির নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই; ভোটকেন্দ্রের ভেতরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে আইন ভঙ্গ করে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা সচক্ষে দেখেছি।
ভোটে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সে বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করব। আমরা তো মূল অ্যাকশনটা নিয়েছি। ভোট বন্ধ করে দিয়েছি। চাকরিবিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেওয়া হবে সেটি পরে ঠিক করা হবে।
ইতোমধ্যে ৪৪ কেন্দ্রে নির্বাচন বন্ধ হয়ে গেছে, এমতাবস্থায় পুরো নির্বাচন স্থগিত হবে কিনা এমন প্রশ্নে বলেন, অনিয়ম হলে নির্বাচন বন্ধের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া আছে। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করছি। আমরা দেখেছি, আপনারাও দেখেছেন ভোটকেন্দ্রে ঢুকে একজনের ভোট অন্যজন দিচ্ছে। তাই কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন কমিশন। আমরা ভোটটাকে সত্যিকার অর্থে ভোট হিসেবে দেখতে চাই। কিছু অনিয়ম দেখা গেছে, ওখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট হতে দেখা যাচ্ছে না। এতে সঠিক জনমতের প্রতিফলন হবে না। সে কারণে আমরা ওই সেন্টারগুলোকে বাতিল করে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই মারা যান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। এর দুদিন পর তার সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন— আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান। সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩।