১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৫:২১:৪৯ অপরাহ্ন
ভোট বন্ধের ঘটনায় যা বলল গণতন্ত্র মঞ্চ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-১০-২০২২
ভোট বন্ধের ঘটনায় যা বলল গণতন্ত্র মঞ্চ

বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়- তা গাইবান্ধার নির্বাচনে আবারো প্রমাণিত হলো’ বলে মন্তব্য করেছেন সাতদলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। একইসঙ্গে অবিলম্বে গাইবান্ধায় ‘ভোট ডাকাতি’ ও ‘জালিয়াতের’ সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। 

বুধবার বিকালে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে নেতারা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘গাইবান্ধা উপনির্বাচনে যে ভোট ডাকাতির ঘটনা তা ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগের রাতে যে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। আওয়ামী লীগের ভোটডাকাত বাহিনী ভোট কেন্দ্র দখল ও জোরপূর্বক ভোট কাটার মহড়ায় গাইবান্ধায় একটি আসনে নির্বাচনে যে চিত্র, তা আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনের বেলায়ও একই হবে- এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।’

নেতারা বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগেই একটি নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং সাংবিধানিক ও শাসনতান্ত্রিক সংস্কারসহ একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে সুষ্ঠু অবাধ গণতান্ত্রিক নির্বাচনি ব্যবস্থা এবং সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে সাত দফা উত্থাপন করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে দেশের মানুষের অধিকার স্বাধীনতা নিরাপত্তা ভোটাধিকার কোনোটাই সুরক্ষিত নয়। এই ফ্যাসিবাদী, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ সরকারকে বিদায় দিয়ে নতুন একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব মানুষের অধিকার, নিরাপত্তা, মর্যাদা ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ 

নির্বাচনের পূর্বে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে যাওয়া ‘সরকারের দুরভিসন্ধি’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় সুরক্ষা সেবার অধীনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিসের স্বার্থে? সরকার রাষ্ট্রীয় সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে করতে এমন জায়গায় পৌঁছেছে- এখন কী করবে তাও প্রায়শই গুলিয়ে ফেলছে। জাতীয় পরিচয়পত্রকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার উদ্যোগ তার একটি উদাহরণ মাত্র।’

নেতারা আরও বলেন, ‘এই দুরভিসন্ধিমূলক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে এবং এ ধরনের পদক্ষেপের যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে হবে সরকারকে।’

শেয়ার করুন