রাজধানীর মুগদার মান্ডা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব মেটানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে রাকিবুল ইসলাম রাতুল (১৯) নামে এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা মেডিকেল কলেজ, সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা আতিকুর রহমান বলেন, সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে অন্যদের সঙ্গে ঝামেলা হয়। স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের লিডার হিরা এবং রবিউল বিষয়টি মীমাংসার জন্য রাতুল ও তার বন্ধুদের ফোন করে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আঘাত করে। অভিযুক্ত হিরার বিরুদ্ধে মুগদা থানায় মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আমার ছেলেকে আমি হারিয়ে ফেললাম। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। আমরা বর্তমানে মুগদার নন্দীপাড়া এলাকায় থাকি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব ছিল। হীরা ও সজীব গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই মারামারি হয়। গত রোববারও দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। গতকাল সে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য সজীব গ্রুপকে ডাকে হীরা গ্রুপ। পরে তারা সেখানে আসলে হীরা গ্রুপ রাতুলকে কুপিয়ে আহত করে। পরে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, নিহত রাকিবুল ইসলাম রাতুল সজীব গ্রুপের সদস্য ছিল। সজীব গ্রুপ এবং হিরা গ্রুপ বিভিন্নভাবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আসামিদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।