কুষ্টিয়ার দহকুলার মাসুদ করিম লাল্টু হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বিশ্বাস ও তার দুই ভাই এবং সন্তানসহ ৬ জনের যাবজ্জীবন ও তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সকালের দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণা শেষে আসামীদের কঠোর পাহারায় জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয় এবং হত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৫ জনকে মামলা থেকে খালাস প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহকুলা তেকোনা পাড়া গ্রামের মৃত মইদুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ও আলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বিশ্বাস (৫৭), তার দুই ভাই হাবিল উদ্দিন বিশ্বাস (৫০), বাবুল বিশ্বাস (৪৭) চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামানের ছেলে মাহামুদ হাসান সবুজ, কামরুজ্জামান বিশ্বাসের ছেলে রাশেদুল ইসলাম এবং জলিল গাইন ছেলে মাসুদ গনি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিলে দহকুলা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সকাল ৯ টার দিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা নিহত মাসুদ করিম লাল্টুর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেন।
বাড়ি-ঘর ভাংচুর করলে নিহত মাসুদ করিম লাল্টু বাধা দিলে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান তাকে ভোজালী দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে নিহতের ভাই তাদের কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কমকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক শরীফ মনজুর তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারিতে আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন ধরে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
অপরদিকে ২০১১ সালে ১ জানুয়ারি কুমারখালী থানাধীন সাদীপুর এলাকার শিলাইদহ ঘাট এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মাথা কাটা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর মামলা তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ দাখিল করেন।
মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ সকালের দিকে আসামীদের উপস্থিতিতে বিশেষ দায়রা জর্জ আদালতের আশরাফুল ইসলাম চারজনকে যাবজ্জীবন করাদন্ডের আদেশ দেন সে সঙ্গে প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।