১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৭:৪৪:০৭ অপরাহ্ন
ইয়াবা পাচারের দায়ে এক রোহিঙ্গাসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১১-২০২২
ইয়াবা পাচারের দায়ে এক রোহিঙ্গাসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজারে প্রায় ১৩ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের দায়ে এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউস দক্ষিণ হাজিপাড়ার মৃত আবদুল মজিদের ছেলে আবুল কালাম (৩৭), খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার পঞ্চরামপাড়ার মকবুল আহমদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩) এবং একই এলাকার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭) ও কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ১৩-এর ব্লক-এইস-১৬ এর মো. বশির আহমদ ও আয়েশা খাতুনের ছেলে মো. আয়াজ (৩৪)।

রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ফরিদুল আলম  বলেন মাদক কারারের দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড রায়ের বার্তাটি মাদক কারবারিদের জন্য বড় ধরনের সতর্কবার্তা। আশা করি মাদক কারবারিরা এবার নিজেরা  সংশোধন হবে। 

তবে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এসএ উদ্দিন। তিনি  বলেন, আসামিদের ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, যা প্রত্যাহার চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত হ্যাঁ বা না কিছুই বলিনি। এর মধ্যে রায় হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, মাদক কারবারিদের সর্বোচ্চ শান্তি চাই। কিন্তু শুধু মাদক কারবারিদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ থাকার দায়ে কারও কেউ অপরাধী বলে প্রমাণিত হয় না।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটের দিকে র‌্যাব ১৫-এর একটি দল অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাটে খুরুস্কুল ব্রিজের উত্তর পাশে, রাস্তার পশ্চিম পাশে একটি ফিশিং বোট আটক করে। একসঙ্গে ফিশিং বোটে থাকা মো. আয়াজ ও মো. বিল্লালকে আটক করে। এ সময় র্যা ব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ৪-৫ জন পালিয়ে যায়। পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০ হাজার ৯ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় র‌্যাব ১৫-এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনর রশীদ বাদী হয়ে উল্লিখিত দুজনসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(গ)/৩৮/৪১ ধারায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। 

এ ঘটনায় মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা জবানবন্দিতে পলাতক আসামি আজিমুল্লাহ ও আবুল কালামের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব ১৫-এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলার চার্জশিট দেন।


শেয়ার করুন