১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৫:৩৪:১৭ অপরাহ্ন
১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহীতে পরিবহণ ধর্মঘট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১১-২০২২
১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহীতে পরিবহণ ধর্মঘট

১১ দফা দাবিতে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহণ ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক পরিষদ। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে এ কর্মসুচি পালন করবে বাস মালিক-শ্রমিকদের দুটি সংগঠন।

তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বিএনপির সমাবেশ ঠেকাতেই এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি অবিলম্বে জনবিরোধী এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার নাটোরে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যৌথসভা থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

শহরের কানাইখালী এলাকায় আরপি কমিউনিটি সেন্টারে নাটোর জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহণ মালিক শ্রমিক পরিষদ সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বিপ্লব।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান। বক্তব্য রাখেন- বগুড়া বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, পাবনা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক মোমিন, সিরাজগঞ্জ বাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি আতিকুল ইসলাম আতিক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু, নাটোর জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামরুল ইসলাম, বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি লক্ষণ পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান প্রমুখ।

সভায় রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মালিক-শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকাল ৪টার দিকে একই স্থানে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানানো হয়, সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ সংশোধান করাসহ হাইকোর্টের নির্দেশানুযায়ী মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে থ্রি-হুইলার, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ ও জ্বালানি তেলসহ যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাস করাসহ ১১ দফা বাস্তবায়নে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।

৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় পরিবরহণ ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহণ মালিক শ্রমিক পরিষদ সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বিপ্লব শনিবারের যৌথসভায় লিখিত সিদ্ধান্ত পাঠ করেন।

এ সময় আট জেলার পরিবহন নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সড়ক-মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে চলাচলরত ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন, ভটভটি, থ্রি-হুইলার, অটোরিকশা, অটো টেম্পোসহ এ জাতীয় যান চলাচল বন্ধ এবং জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের মূল্য কমানোর দাবি জানানো হয়।

এদিকে ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, সব ধরনের তেলের দাম কমানো, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই এ সমাবেশ। বাস মালিক সমিতি সেই ধর্মঘটের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশে বাধা দিতেই এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। কুমিল্লায় ধর্মঘট না দেওয়ায় আমরা ভেবেছিলাম মালিক শ্রমিকদের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে; কিন্তু রাজশাহী বিভাগে তারা সরকারের চাপে এ ধর্মঘট ডেকেছে। এ ধর্মঘটকে উপেক্ষা করেই নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে সমাবেশে আসবেন। কোনো বাধাই গণসমাবেশকে আটকাতে পারবে না।

দুলু বলেন, জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ফল কারো জন্যই শুভ হয় না। তিনি অবিলম্বে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন