বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষের পর এখন অনেকটাই থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে রাজধানীর নয়াপল্টন এবং আশপাশের এলাকা। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড বসিয়ে চলছে পুলিশের তল্লাশি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নাইটিঙ্গেল ও ফকিরাপুল মোড়ে ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন এবং সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করেছে পুলিশ। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসে যাবার পথে বিজয় নগর মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে যেতে দেননি।
পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয়দের প্রবেশ করতেও দেখাতে হচ্ছে পরিচয়পত্র। সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, বিপনিবিতান, অফিস ও ব্যাংক।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ এখনো কোনো নেতাকর্মী দেখা যায়নি। তবে নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, জনগণের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ফিরোজ নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, আমিনবাজার থেকে গুলিস্তান যাওয়ার পথে পর্বত সিনেমা হলের সামনে আমাকে চেক করে।
পুলিশ বলছে, ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্র করে যেন কোনো নাশকতা না হয়, সে জন্য চেকপোস্ট বসিয়েছে। এতে জনসাধারণের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে।
চেকপোস্ট ও তল্লাশির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দারুস সালাম থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে আমাদের এ কার্যক্রম চলছে। সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কাউকে সন্দেহমূলক এখনো আটক করা হয়নি। দিনব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে।
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, হত্যা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মহানগর এবং জেলাপর্যায়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।