প্রেমিককে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন প্রেমিকা। আর তাতেই প্রেমিকার মুখে লাথি মারলেন ২৪ বছরের এক যুবক।
শুধু লাথিই নয়, প্রেমিকাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, চড়ও মারতে থাকেন তিনি। মারের চোটে অজ্ঞান হয়ে যান ১৯ বছরের তরুণী।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ওই তরুণীকে নির্যাতনের শাস্তি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। বুলডোজার এনে গুঁড়িয়ে দিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী নামে ওই নির্যাতনকারীর বাড়ি।
পঙ্কজ তার প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে মারধর করছিলেন। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে প্রেমিকার মুখে নির্বিচারে লাথি মারতেও দেখা যায় তাকে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
পেশায় বাসচালক পঙ্কজের সেই ভিডিও নজরে পড়তেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয় মধ্যপ্রদেশের প্রশাসন। পঙ্কজকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়।
তার পর তাকে আরও কড়া শাস্তি দিতে, বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তার বাড়িটি। শুধু তাই নয়, পঙ্কজের বাস চালানোর লাইসেন্সটিও বাতিল করে দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ প্রশাসন।
ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায়। রেওয়ার দেহরা গ্রামের বাসিন্দা ২৪ বছরের পঙ্কজকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার ১৯ বছরের প্রেমিকা।
ভাইরাল ভিডিওতে তার জবাবে প্রেমিকাকে যথেচ্ছ মারধর করতে দেখা যায় পঙ্কজকে। রোববার সকালে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এর পরই রোববার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে একটি ভিডিও প্রকাশ করে মধ্যপ্রদেশ প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজের দপ্তরের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা সেই ভিডিওতে দেখা যায় একটি বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হচ্ছে।
ভিডিওর বিবরণে লেখা— ‘রেওয়া জেলার মউগঞ্জ এলাকায় এক যুবতীর সঙ্গে হওয়া বর্বরতার ঘটনায় অপরাধী পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে গ্রেফতার করে তার বাড়িতে বুলডোজার চালানো হয়। তার ড্রাইভিং লাইসেন্সও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।’
শেষে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আরেকটি লাইন— ‘মধ্যপ্রদেশের মাটিতে নারীদের ওপর অত্যাচারকারীদের কোনো রকম ক্ষমাপ্রদর্শন করা হবে না।’
উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশেও সম্প্রতি দেখা গেছে বুলডোজার শাসন। এর আগেও বেশ কিছু অপরাধীকে ‘শাস্তি’ দিতে তাদের বাড়িতে বুলডোজার চালাতে দেখা গেছে মধ্যপ্রদেশ সরকারকে।
রোববারের ঘটনাটিতে অবশ্য মধ্যপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, পঙ্কজের বাড়িটি বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল।