নাশকতা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্ট ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিলেও জামিনের বিপক্ষে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বুধবার জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এটি দাখিল করা হয়। আজকেই এর শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে জামিন শুনানি দুই সপ্তাহ পেছানোর আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে দুপুরে শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এর পর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের ছয় মাসের জামিন দেন।
যদিও জামিন চেয়ে এর আগে বিচারিক আদালতে চারবার আবেদন করেছিলেন বিএনপির এ দুই নেতা। চারবারই তা খারিজ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যু হয়। আহত হন অনেকে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ।
পর দিন ৮ ডিসেম্বর রাতে নিজ নিজ বাসা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয় নিয়ে আসে। পর দিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের পল্টন কার্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক দেখিয়ে আদালতে হাজির করে।
এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার বিএনপি নেতাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন এ দুই নেতা।