গত ৫ দিনে তুরস্ক ও সিরিয়া থেকে উদ্ধারকৃত মৃতদেহের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ২৪ হাজারে। ইট-কংক্রিটের স্তূপের মধ্যে জীবিত অথবা মরদেহের সন্ধানে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। খবর রয়টার্সের।
অভিযানে যোগ দিয়েছে বহু দেশের হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী। আছে স্বেচ্ছাসেবকরাও। কেবল তুরস্কে উদ্ধার হয়েছে ২০ হাজার ৩ শতাধিক মরদেহ। আহত ৮০ হাজারের বেশি। আর সিরিয়ায় প্রাণহানি নিশ্চিত হয়েছে সাড়ে তিন হাজারের ওপর।
৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে অনেকগুলো আফটারশক হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।
গোটা জনপদই এখন মৃত্যুপুরী। দুমড়ে-মুচড়ে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে সারি সারি মৃত্যুকূপ। যেন নিস্তব্ধ গণকবর। কোনো শব্দ নেই, আর্তনাদ নেই, চিৎকার নেই। আত্মীয়স্বজন-উদ্ধারকারীরা সবাই কান পেতে আছে একটা চাপা ধ্বনির জন্য। ছোট্ট একটা আওয়াজ, একটু শব্দ, একটু নড়াচড়ার জন্য ধ্বংসস্তূপগুলোর গায়ে গায়ে গিয়ে কান পাতছেন- কেউ বেঁচে আছেন কিনা তা শুনতে।
স্বজনদের উদ্ধার অভিযান নিয়ে এমন বর্ণনাই দেন অনুসন্ধানকারীরা।
তুরস্কের গাজিয়ানতেপ থেকে শুরু করে সিরিয়ার আলেপ্পো-গোটা জনপদই এখন ‘ধ্বংসস্তূপের বিরানভূমি’। সোমবার শেষ রাতের ৭.৮ মাত্রার ওই দানবীয় ভূমিকম্পের পর নগর বা নাগরিক জৌলুস হারিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে এই সভ্য লোকালয়। প্রলয় দাপটে ধসে যাওয় এ ভূখণ্ডের এখন নতুন পরিচয়-মৃত্যুপুরী।