সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করার সময় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, খুনি, যুদ্ধাপরাধীরা ফের ক্ষমতায় এলে দেশ আবার তছনছ হবে।
পদ্মা সেতুসহ সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার মানুষ ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই গ্রামে প্রিয়জনের কাছে যেতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিভিন্নখাতে দেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে গ্রেনেড হামলাকারী, খুনি, যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় এলে দেশটাকে আবার ধ্বংস করে দেবে, তছনছ করে দেবে।’
শনিবার সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ১০টায় সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে তিনি সবাইকে ‘ঈদ মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা জানান। দেশের নানা খাতে উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধির তথ্যও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
কোভিড মহামারীর কারণে তিন বছর বিরতির পর প্রধানমন্ত্রী দলের নেতা-কর্মী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে তিনি বিচারপতিগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, বিদেশী কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব, সচিব এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, উন্নয়নের যে ধারা সূচিত করেছি, সেই ধারা অব্যাহত রেখে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যেনো দেশকে প্রতিষ্ঠা করতে পারি। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিপণি বিতানে আগুনের ঘটনার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অগ্নি সন্ত্রাসীদের কোন চক্রান্ত আছে কিনা সেটা ভাবতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের ওপর হামলার পর সেটির কারণেই সন্দেহ। তিনি বলেন, যারা জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারতে পারে। তারা হেন কেন কাজ নাই করতে পারে না।
এ সময় সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অতিমারি, মুদ্রাস্ফীতি থাকা স্বত্বেও বাংলাদেশে দারিদ্রের হার কমানো সম্ভব হয়েছে।
দেশকে সম্পূর্ণভাবে দারিদ্রমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ অনেক ভালো আছে। এই অগ্রযাত্রা যেনো অব্যাহত থাকে। দেশ শান্তিতে আছে। দেশের শান্তি নিরাপত্তা যেন থাকে।
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের ফসল হিসেবে জনগণ বারবার ভোট দিয়েছে। গণতান্ত্রিক ধারা, স্থিতিশীলতা আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
জিয়াউর রহমান ও বিএনপির শাসনামলে গুম, খুন ও নানা হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওই দুঃশাসন যেন আর না আগে।